প্রসেনজিৎ ধর :-মাঝরাতে মহিলা হস্টেলে দুষ্কৃতী হানা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করতে হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।স্থানীয় সূত্রে খবর, লেডিজ হস্টেলের মধ্যেই বহিরাগত অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা শুরু করেছে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিজ হস্টেলে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা আনাগোনা করছে। বড় কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নিরাপত্তার দাবিতে সকাল থেকে হস্টেলের বাইরে বেরিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ছাত্রীরা। রাতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এল এইচ–১ ছাত্রীদের মাতঙ্গিনী হস্টেলে এক দুষ্কৃতী ঢুকে বাথরুমে উঁকি দিচ্ছিল। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কল্যাণী থানার পুলিশ। হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে বসানো হবে সিসি ক্যামেরাও।বহিরাগত লোকজন ছাত্রীদের হস্টেলে ঢুকে উঁকি মারার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ছাত্রীদের অভিযোগ, এই বিষয়টা আগে রেজিস্ট্রারকে বলা হয়েছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। সেটার প্রমাণ আবার মিলল। আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এপ্রিল মাস থেকেই এই ঘটনা ঘটছে।এদিন নিরাপত্তার দাবিতে হস্টেলে দীর্ঘদিন বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। বাধ্য হয়ে উপাচার্যকে নামতে হয় ময়দানে। হস্টেলের সামনে এসে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য মানসকুমার সান্যাল। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।
কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। উপাচার্যের সঙ্গে কথার পর রেজিস্ট্রারের ঘর ঘেরাও করেন ছাত্রীরা। এখনও চলছে বিক্ষোভ।প্রসঙ্গত, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হস্টেলের বাইরে থেকে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার ঘটনা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। এভাবে হস্টেলে ঢুকে পড়ার ঘটনাও আগে ঘটেছে। পরপর এহেন ঘটনায় প্রবল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পড়ুয়ারা।এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়তেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মানসকুমার সান্যাল বলেন, ‘আমি সবটা শুনে নিজেই দেখতে গিয়েছিলাম। দেখলাম বাথরুমের কাচ ভাঙা। আলো জ্বলছে না। সবই ঠিক করে দেওয়া হবে। সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা চলছে। একটা তদন্ত কমিটি তৈরি করেছি। ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। কল্যাণী থানার পুলিশকেও পেট্রোলিং বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে বলেছি। মেয়েদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের।’