Breaking News

‘চক্রান্ত করে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বিধায়ককে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা’,জাকিরের কারখানায় আয়কর হানায় তোপ কুণাল ঘোষের!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আয়করের হানায় মুর্শিদাবাদের বিড়ি কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা নগদ। সঙ্গে আরও তিনটি বিড়ি কারখানা, রাইস মিল মিলিয়ে আরও ২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের নাম। জাকির হোসেনের বাড়ি ও কারখানায় আয়কর হানার নেপথ্যে বিজেপির সুপরিকল্পিত চক্রান্ত, সরাসরি এমনটাই অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অভিযোগ, উদ্ধার হওয়ার টাকা সম্পর্কে আইনি যুক্তি তথ্য ও প্রমাণের সুযোগ না দিয়ে উলটে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে ছবি ছেড়ে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করাচ্ছেন দলবদলু বিজেপি নেতারা। জাকিরের মতো শিল্পপতি ও বিধায়কের চরিত্র কালিমালিপ্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে জনমানসে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলেও এদিন তোপ দেগেছেন দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ।বিজেপির চক্রান্তে আয়কর অভিযান হয়েছে বলে কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “আয়কর অভিযানে জাকিরের জায়গা থেকে বেশ কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে একটি খবর প্রচারিত হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, আইন আইনের পথে চলুক। কিন্তু এর পিছনে পরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে। জাকির হোসেন শুধুমাত্র একজন তৃণমূলের বিধায়ক নয়, তিনি রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী । বিড়ি শিল্পের পাশাপাশি একাধিক জেলায় তাঁর কৃষিভিত্তিক নানা ব্যবসা রয়েছে।” কুণালের প্রশ্ন, ‘‘যদি কোনও জায়গা থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয় এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা ব্যবসার প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতে নগদ টাকা রাখতে পারবেন না এটা কে বলল?’’এরই রেশ টেনে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিড়ি শিল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক শিল্পে তাঁর ব্যবসা রয়েছে।

একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বাড়িতে নগদ রাখতে পারবেন না, এটা কে বলল? কবে ঠিক হল? যেখানে ওনাদের ব্যবসায় বিপুল সংখ্যক দৈনিক মজুরির শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের নগদে পেমেন্ট দিতে হয়। যেভাবে ব্যাপারটা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক নয়। যাঁর কাছে এই রেইড হয়েছে, তাঁকে নথিপত্র, তথ্য়প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হল না, তার আগেই সংশ্লিষ্ট এজেন্সি সংবাদমাধ্যমের ব্যবহার করে যেভাবে টাকা, খবর, ছবি ছড়ালেন তা জনমানসে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য আমরা মনে করি। যদি রেইড হওয়ার ছিল, টাকা অবৈধ মনে হয় তার আইনি ব্যবস্থা হবে। তার বদলে এটা সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে চলে যাচ্ছে, এটা প্রমাণ করে এটা সুপরিকল্পিতভাবে ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিত।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *