প্রসেনজিৎ ধর :- ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। আর এই পুরসভার চেয়ারপার্সন হলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। আজ, সোমবার ৭–০ ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভার বোর্ড দখল করল কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আজ ঝালদা পুরসভার প্রধান নির্বাচন হয়। তবে ঝালদা পুরসভার ভোট নিয়ে জটিলতা জারি রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটাভুটিতে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে ৭টি ভোট। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা খেল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার প্রেস্টিজ ফাইটে কংগ্রেস কাছে ৭-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস জোটের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে ভোট দিয়েছেন মোট ৭ জন কাউন্সিলর। এই সাত কাউন্সিলরের মধ্যে ৫ জন কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত অন্য ২ জন নির্দল। অন্যদিকে জানা গিয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য ব্যালট পেপার নিলেও তা শেষমেশ জমা দেন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে এদিন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছিল। আদালতের তরফে জেলাশাসককে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ভোটে অংশগ্রহণ না করলেও সূত্রের খবর ঝালদা পুরসভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল।আজ, সোমবার ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভার ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর, ১ জন নির্দল কাউন্সিলর এবং ৫ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ঝালদা পুরসভায় যান। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে থাকলেও তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। এই পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এই শীলার সমর্থন নিয়েই আগে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তিনিই এবার ৬ কংগ্রেস কাউন্সিলরের সমর্থনে হলেন পুরপ্রধান।
যদিও তৃণমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলররা ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। ২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনের সময় থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ঝালদা পুরসভা। ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার পরই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হন। সেই সময় নির্দল কাউন্সিলর হিসেবে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনেই পুরপ্রধান হয়েছিলেন সুরেশ আগরওয়াল। পরবর্তী সময়ে নির্দল ও তৃণমূল কাউন্সিলররা সমর্থন তুলে নিলে তাঁকে পদ থেকে অপরাসিত হতে হয়। এদিন পুরসভা চত্বরে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছিল।