দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ‘বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো’র পর এবার কলকাতায় শুরু হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক ট্রেড এক্সপো’। রাজ্যের উদ্যোগে আগামী ২৫ জামুয়ারী থেকে মিলন মেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই শিল্পমেলার। চলবে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত গতবার, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের অংশ হিসেবে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো’ করেছিল রাজ্য | এবারে রাজ্যের শিল্প নিগমের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ট্রেড এক্সপো বসতে চলছে। এই মেলায় অংশ নেবে একাধিক বণিকসভা এবং বেসরকারি শিল্প সংস্থা। নিগম সূত্রে খবর, দেশের বণিক মহলের সঙ্গে ১৫টি দেশের প্রতিনিধি এবং বণিক মহলের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই এক্সপোতে। শিল্প দফতর সূত্রে খবর, শুধু যে বাণিজ্য ক্ষেত্রেই এই সমস্ত বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ করতে বলা হবে এমনটা নয়। পশ্চিমবঙ্গে থাকা বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিকেও এই পাঁচদিনের বাণিজ্য সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। সেই সব পর্যটন কেন্দ্রে বিনিয়োগ করলে শিল্পপতিরা যে লাভের মুখ দেখবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে ।শিল্প দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকার সবরকম সহায়তা দেবে নিগমকে। তাই রাজ্য সরকারের পরিকাঠামগত যাবতীয় বিষয় এই শিল্প সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। রাজ্যের পরিবহণ, শিল্পবান্ধব পরিবেশ, শিল্প প্রকল্প রূপায়ণে সরকারি সহায়তা-সহ নানা বিষয় তুলে ধরা হবে এই মেলায়। এবং বৃহৎ থেকে শুরু করে, ছোট শিল্প স্থাপনে রাজ্য সরকার যে প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে তা ওই ১৫টি দেশের বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরবেন শিল্পোন্নয়ন নিগমের কর্তারা।
মন্ত্রী শশী পাঁজা শিল্প দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও শিল্প সম্মেলনের আয়োজন হচ্ছে রাজ্যে। তাই এই সম্মেলনে তাঁর ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন শিল্প দফতরের কর্তারা। ২৯ তারিখে পাঁচ দিনের সম্মেলন শেষ হলে রাজ্য সরকার বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাবে বলেও আশাবাদী শিল্প দফতর।গত বছর গোড়ার দিকে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো ২০২২’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে অংশগ্রহণ করেছিল ১৪টিরও বেশি দেশ। উৎপাদন, পরিষেবা-সহ মোট ২৮টি বিভাগের স্টল ছিল প্রায় ৪০০টি। নিগম সূত্রে খবর, ওই মেলায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই লক্ষ। বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো ২০২৩’–তে অংশগ্রহণকারী তার দ্বিগুণ হবে বলেই মনে করছেন আয়োজনকারীরা। এক আধিকারিকের কথায়, গতবার কিছুটা হলেও করোনার ভয় মানুষের মনে টিকে ছিল। কিন্তু এবার তা নেই, তাই আশা করা যেতেই পারে এবার তুলনামূলকভাবে অংশগ্রহণকারী সংখ্যা বাড়বে।