নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- তাঁর স্বামী কুন্তল ঘোষ নির্দোষ, তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। দাবি করলেন ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষ।ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকদের নাম করে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল,স্বামী কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর বিবৃতি জারি করে অভিযোগ জানালেন স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষ।ইডি যে ফ্ল্যাটগুলিতে শুক্রবার সকালে হানা দিয়েছিল, তার একটিতে দীর্ঘ সময় ধরে তাপস নিজেই থাকতেন বলে দাবি জয়শ্রীর। একই সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে শিক্ষক পদপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস এনেছেন, তাও ‘মিথ্যা’ বলেই দাবি করেছেন তিনি। এ-ও জানিয়েছেন, ‘ন্যায়বিচার’ পেতে তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এবং ইডির উপর আস্থা রাখছেন। ফ্ল্যাট থেকেই তাপস মণ্ডল তাঁর কলেজের ও আইনি বিষয়ক সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করতেন।
ইডির কাছে এই বিষয়ক সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কুন্তলের স্ত্রী। জয়শ্রী ঘোষের আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, গত ৫ মাস ধরে তাপস মণ্ডল ও তাঁর সহকারী নিলাদ্রি ঘোষ ইডি ও সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা লুঠ করেছে।শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল। স্বামীর গ্রেফতারির পর এ বার মুখ খুললেন জয়শ্রী। একটি বিবৃতি জারি করে জয়শ্রী লেখেন, ‘‘চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে কুন্তল ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে যে দাবি তাপস করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাপস এবং তাঁর কয়েক জন সহযোগী ষড়যন্ত্র করে কুন্তলকে ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছেন।’’জয়শ্রী জানিয়েছেন, কুন্তল যে বিএড কলেজের মালিক, তাপস সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে ‘সুসম্পর্ক’ ছিল। তাঁর দাবি, ‘‘শুক্রবার সকালে নিউ টাউনের যে দু’টি আবাসনে ইডি হানা দিয়েছিল, করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন তারই একটিতে থাকতেন তাপস এবং তাঁর সহযোগী তাপস মিশ্র। তাপস প্রায় দু’মাস সেখানে ছিলেন এবং ওই ফ্ল্যাট থেকেই নিজের যাবতীয় কাজকর্ম করতেন। তিনি যে ওই আবাসনে থাকতেন, তা প্রতিবেশী, নিরাপত্তরক্ষীদের বয়ানে সহজেও প্রমাণ করা যাবে।’’