প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে ‘একলা চলো’ নীতিতে লড়াইয়ের কৌশল নিল তৃণমূল। রাজ্যের ৬০টি আসনের সব ক’টিতেই প্রার্থী দিচ্ছে তারা। শুক্রবার এ নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এই একলা চলো নীতিতে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে রাজীব বলেন, “অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আজ মিটিং করতে ডেকেছিলেন৷ দীর্ঘ সময় আজ আলোচনা হয়েছে। আমাদের ভোট রণকৌশল নিয়ে কথা হয়েছে। ৬০ আসনের জন্য ১২০ জনের নামের তালিকা পেয়েছি। আসন ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে।” ত্রিপুরা তৃণমূল সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই ত্রিপুরায় প্রচারে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় । বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরা যাবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও ।ত্রিপুরায় গত পুরভোটে ২৪ শতাংশ ভোট পেলে বিধানসভা উপনির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল।
তবে বিধানসভা সভা নির্বাচনে ফল একেবারে অন্য রকম হবে দাবি রাজীবের। তার কথায় তৃণমূলকে একেবারে নতুন ভাবে ওখানে দেখতে পাওয়া যাবে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সে রাজ্য ভোট। ভোটের আগে প্রচারে যাবেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কোনও জোট করা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনার রাস্তা খোলা রাখছে ত্রিপুরা তৃণমূল।অভিষেকের অফিসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস ও ত্রিপুরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব। রাজ্য সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০১২ সালে বাংলায় বাম ও কংগ্রেস জানত যে তারা শূন্য পাবে। তবু তারা জোট করছিল। আসলে তা বিজেপিকে সাহায্য করতে। এখন ত্রিপুরাতে ওদের আঁতাত হয়েছে।’ এর সঙ্গে সুস্মিতা দেবের সংযোজন, ‘২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বামেদের ভোট চলে যায় বিজেপি। এখন বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। যাঁরা বিজেপিকে চায় না তাঁরা বামেদের দিকে যাবে না। ’শেষ পুরসভা নির্বাচনের ভিত্তিতে ত্রিপুরায় বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল।