Breaking News

লোকাল ট্রেন চালালেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও স্টেশন মাস্টার!‌ হাওড়া ডিভিশনে আলোড়ন

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাওড়া ডিভিশনে লোকাল ট্রেন চালালেন ট্রাফিক ইনস্পেক্টর এবং স্টেশন মাস্টাররা। অবাক করা এই ঘটনা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রবিবার দিন এমন ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। আর সে কথা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ এই কাজের ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রোড লার্নিং না থাকা সত্বেও কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাওড়ার গার্ডরা |এই বিষয়টি নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অল ইন্ডিয়া গার্ড কাউন্সিলের হাওড়ার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সাহা ঘটনাটি নিয়ে বলেন, ‘‌ট্রেনের কোন সুইচের কী কাজ, ট্রেনে আগুন লাগলে কী করতে হবে, যাত্রী নিরাপত্তা–সহ সিগন্যাল অবজ্ঞা করলে, দুর্ঘটনা ঘটলে কোন পদক্ষেপ করতে হয় সেগুলি কিছুই জানে না ট্রাফিক ইনস্পেক্টররা। গার্ডের যে কাজ তার কোনও ধ্যান–ধারণা নেই তাঁদের। এভাবেই যাত্রীদের বিপদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে রেল।’‌ রবিবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটের হাওড়া–বর্ধমান কর্ড লোকাল, ১০টা ৩৫ মিনিটের গোঘাট লোকাল, ১১টা ৪২ মিনিটের পাণ্ডুয়া লোকাল–সহ একাধিক ট্রেনে গার্ডের পরিবর্তে ট্রাফিক ইনস্পেক্টরদের দিয়ে চালানো হয়েছে। পূর্ব রেলে এটাই এখন চর্চিত বিষয়।অপারেশন বিভাগের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানা গিয়েছে, শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। যাতে গার্ডদের একটানা ১০ ঘন্টা ১৫ মিনিট কাজ করতে হবে। হাওড়ার গার্ডদের অভিযোগ, রেলের নির্ধারিত ‘আওয়ার অফ এমপ্লয়মেন্ট রেগুলেশন’ আইন উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া ডিভিশন।

আইনে বলা হয়েছে, টানা সাড়ে পাঁচ ঘন্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। কাজের শেষে ১৬ ঘন্টার বিশ্রাম। তাঁদের অভিযোগ, যেহেতু গার্ডদের, নির্ধারিত দিনে সাপ্তাহিক ছুটি নেই। তাই তাঁদের ট্রেন চলানোর উপর নির্ভর করে নির্ধারিত ছুটি ও বিশ্রাম ঠিক হয়। যার তোয়াক্কা না করে ডিউটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে।আজ, সোমবার রেলের কর্মী সংগঠন এবং গার্ড কাউন্সিল বিভিন্ন রেল দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন। নতুন নির্দেশিকা মানেননি গার্ডরা। পুরনো নিয়মেই তারা কাজ করেন। গার্ডদের এই প্রতিবাদকে গুরুত্ব না দিয়ে হাওড়ায় বহু ট্রেন চালানো হয় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দিয়ে। এই ঘটনা নিয়ে পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার প্রভাস দানসানা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌এখন বহু কিছু কার্যকর হচ্ছে। বিশ্রামের ন্যূনতম সময় যা দেওয়া সম্ভব তা দেওয়ার পর কর্মীদের কাজ করানো হবে।’‌

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *