দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তা নিজের নামে মিউটেশনের জন্য বিএলআরও দফতরে আইনজীবীকে পাঠালেন অমর্ত্য সেন। শুনানিতে বিশ্বভারতীর আইনজীবী দাবি করেছেন, ১.৩৮ নয় ১.২৫ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল অর্থনীতিবিদের বাবাকে। সোমবার বোলপুর বিএলআরও অফিসে এই তথ্যই তুলে ধরেছেন তিনি। এদিন জমি নিয়ে শুনানি শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। অমর্ত্য সেন আইনজীবীর দাবি, বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে তাঁদের দাবি প্রমাণ করা জন্য আরও সময় চেয়েছেন। সোমবার নির্দিষ্ট সময়মতো বিএলআরও অফিসে যান অমর্ত্য সেন । সঙ্গে যান তাঁর আইনজীবীরা। বিএলআরও অফিসে ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো, আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস-সহ অন্যান্যরা। মিউটেশনের শুনানির শুরুতে দু’পক্ষের আইনজীবী সামান্য বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাসের দাবি, বিশ্বভারতীর অধীনস্থ জমির পরিমাপ ১.৩৮ ডেসিম্যাল। ১.২৫ ডেসিম্যাল জমি অমর্ত্যর। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অতিরিক্ত জমির মিউটেশন করাতে চান বলেই দাবি তাঁর।যদিও বিশ্বভারতীর আইনজীবীর এই অভিযোগ মানতে নারাজ অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, অমর্ত্য সেন কোনওভাবেই অন্যের জমি নিতে চান না।
যতটুকু তাঁর, ঠিক ততটুকুই মিউটেশন করার কথা বলেছেন তিনি। মিউটেশনের পরবর্তী শুনানি আবার কবে হবে, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না অমর্ত্যর আইনজীবী। কারণ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছে। তারা পরবর্তী সময় দিলে আবারও শুনানি হবে।উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর তরফে জমি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তিন-তিনবার নোটিস পাঠানো হয় অমর্ত্য সেনকে। এসব বিতর্কের মাঝে গত ১১ তারিখ বোলপুর বিএলআরও অফিসে যান অমর্ত্য সেনের প্রতিনিধি। নোবেলজয়ী নিজের নামে জমি মিউটেশন করাতে চান বলে আবেদন জানানো হয়। সেই অনুযায়ী এদিন মিউটেশনের শুনানি হয়। তা সত্ত্বেও কাটল না জমিজট।এই জমি বিতর্কের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্মত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু সরকারি নথি তুলে দেন। সূত্রে খবর, সেই নথি অনুযায়ী ১.২৫ একর নয়, আদতে ১.৩৮ একরই অমর্ত্যের পিতাকে লিজ দেওয়া জমি হিসাবে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে।