Breaking News

২৩, ২৪ শে কলকাতা পুরসভায় কর্মবিরতির ডাক,কাজে যোগ না দিলেই ব্যবস্থা, কর্মবিরতির ডাকে হুঁশিয়ারি কলকাতার মেয়রের!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দু’দিনব্যাপী কর্মবিরতি শেষ হতেই এবার ধর্মঘটের ডাক কলকাতা পুরসভায়।বৃহস্পতি ও শুক্রবার ডিএ-র দাবিতেই কর্মবিরতি ডেকেছে পুরসভায় সরকার বিরোধী বিভিন্ন ইউনিয়ন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হুমকি, যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃণমূল সরকার বনধ সংস্কৃতির বিরোধী বলে দাবি করেন ফিরহাদ। ইতিমধ্যেই আগামী ৯ মার্চ সারা রাজ্যে সরকারি দফতর এবং স্কুল–কলেজে ডিএ ইস্যুকে নিয়েই ধর্মঘটে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং রাজ্য কো–অর্ডিনেশন কমিটি। আজ,বুধবারই তারা সরকারকে প্রথামাফিক নোটিশও দিয়েছে। যৌথ মঞ্চ এবং কো–অর্ডিনেশন কমিটি জরুরি বৈঠকে বসে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শহিদ মিনার ময়দানে যৌথ মঞ্চ থেকে ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করেন নেতারা।

তবে এই নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কারণ, ৯ মার্চ মাধ্যমিকের ঐচ্ছিক বিষয় এবং মাদ্রাসা বোর্ডের হাইমাদ্রাসা দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা রয়েছে।মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আমরা রাজ্যে কোনও বনধ হতে দেব না। বনধের সংস্কৃতি তৃণমূল পছন্দ করে না। সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি রুখতে নবান্ন কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতে চাকরি ছেদেরও কথা বলা হয়েছিল।সেই নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করেই সোম এবং মঙ্গলবার জেলায় জেলায় অধিকাংশ সরকারি কর্মীই কর্মবিরতিতে শামিল হন। অন্যদিকে এবার এই কর্মবিরতির আওয়াজ উঠেছে খোদ কলকাতা পুরসভায়। এটা জানতে পেরেই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌শহরের মানুষের করের টাকায় পুরসভার কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়। পুরসভার কর্মচারীরা তাই নাগরিকদের পরিষেবা দিতে বাধ্য। যাঁরা ওই দু’দিন কাজ করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু সংখ্যক পুরসভার কর্মচারী ধর্মঘট করতে চাইছেন। সিংহভাগ কর্মচারীই কাজ করতে চান। যাঁদের কাজ করতে অসুবিধা হবে, তাঁরা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন।’‌

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *