দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কীভাবে গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির জাল বিছিয়েছিলেন বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল?চন্দনের জামিন-আবেদনের বিরোধিতায় আদালতে রিমান্ড প্রেয়ারে তদন্তকারী সংস্থার দাবি, চেন সিস্টেমে চলত নিয়োগ দুর্নীতির কারবার। অকৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্রে সরকারি ভুয়ো মেমো নম্বর দেওয়া থাকত। রিজিওনাল কমিশনের চেয়ারপার্সনের অজান্তে তাঁর সই নকল করে সেই নিয়োগপত্র দেওয়া হত। এমনকি, নিয়ম ভেঙে সরকারি ওয়েবসাইটে নাম বা রোল নম্বর উল্লেখ না করেই অকৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হত নিয়োগপত্র। রিমান্ড প্রেয়ারে দাবি, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই ছিল বেআইনি। আদালতে ইডি জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে শুধুমাত্র চন্দন মণ্ডলের অ্যাকাউন্টেই ঢুকেছে ১৬ কোটি টাকা। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে এই টাকা নিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার আদালতে পেশের সময় চন্দনকে হেফাজতে চেয়ে ইডি যে আবেদন করেছিল তাতে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষা দফতরের নিয়োগপত্র দেওয়ার কোনও নিয়ম মানেননি চন্দন মণ্ডল। ভুয়ো মেমো নম্বর দিয়ে নিয়োগপত্র তৈরি করেছেন তিনি। এমনকী তাতে বসানো হয়েছে SSC-র আঞ্চলিক প্রধানদের স্ক্যান করা সই। নিয়োগের পর প্রার্থীদের নাম ওয়েবসাইটে তোলা হয়নি।এদিন ইডি দাবি করেছে, এই দুর্নীতি প্রমাণ করছে পশ্চিমবঙ্গের সমাজে কোথাও পচন ধরেছে। এই দুর্নীতির টাকা মালদ্বীপ থেকে ভিয়েতনাম সারা পৃথিবীতে পৌঁছে গেছে। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, তখনই বাগদার রঞ্জনের ব্যাঙ্কের নথি ও সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখে, ৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ পাওয়া গেছিল। পরে তাঁকে জেরা করে ও ব্যাঙ্কের তথ্য ঘেটে আরও ১০ কোটি টাকার হদিশ মেলে।অর্থাৎ, সব মিলিয়ে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মোট ১৬ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন চন্দন।অযোগ্যদের স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিতেই ওই টাকা তোলা হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে মানিকের ছেলে শৌভিকের বিদেশযাত্রার কথা উল্লেখ করেন ইডির আইনজীবী। বলেন, তাঁর লন্ডনে যাওয়ার কারণ জানতে বিদেশ মন্ত্রক ও অভিবাসন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তাঁরা।