দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নওশাদ সিদ্দিকির জামিন মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। একই ঘটনায় কেন অষ্টআশি জনকে গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারিতে কেন এতদিন ধরে জেলে? প্রশ্ন বিচারপতির। বিধায়ক হিসেবে এমন আচরণ করা যায়? নওশাদকেও প্রশ্ন বিচারপতির। একই ঘটনায় কেন ৮৮ জনকে গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারিতে কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন? রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের।আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারিতে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা রুজু হয়। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। ওই মামলায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মোট ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন। তাদের ৩২ দিনের বেশি সময় জেলে রাখা হয়েছে।’’
এরপরই বিচারক বিস্মিত সুরে প্রশ্ন করেন, ‘‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে?’’ নওশাদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “নেতারও সংযত থাকা উচিত। তাঁর নেতৃত্বে কোনও বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত।”উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ জানুয়ারি। ওইদিন ভাঙড়ের হাতিশালায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। পরদিন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। ভাঙড়ের অশান্তির রেশ ধরে ধর্মতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আইএসএফ। তাতেই নেতৃত্ব দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হন। সেই ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকি-সহ বহু আইএসএফ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার হন। সম্প্রতি নওশাদ সিদ্দিকিকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। তার পালটা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু হয়। বুধবার সেই মামলাতেই বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারপতি।