দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ অনশন করছে। আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানাতে শনিবার আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়ে একদিনের অনশনে বসলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি |কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের। এই দাবিতে ধর্মতলায় প্রথমে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন আরও জোরদার করে অনশন করেন তাঁরা,তা ৫০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। শনিবার সেই অনশন মঞ্চেই যোগ দিতে দেখা গেল সদ্য জামিন পাওয়া ভাঙড়ের বিধায়ককে। সেই মঞ্চ থেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট বলেন, ”ডিএ যদি না পাওয়া যায়, তাহলে এই আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়বে। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।” আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই কি সরাসরি মঞ্চে এলেন? এর জবাবে নওশাদ জানান, তিনি ঠিক করেছিলেন যে একদিন ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশন মঞ্চে যোগ দেবেন। সেইমতো শনিবার সকালেই সেখানে পৌঁছে যান। এবং সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনি নির্জলা উপবাস করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে,আজ থেকে ডিএ আন্দোলন আরও জোরদার হচ্ছে। শুরু হচ্ছে ‘ডিজিটাল অসহযোগ’|
আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারি কর্মীদের বহুক্ষেত্রেই অফিসের পর কাজ করতে হয়। বিশেষত মিড ডে মিলের খতিয়ান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বসে কাজ করতে হয় শিক্ষকদের। সেক্ষেত্রে সরকারের তরফে না দেওয়া হয় কম্পিউটার, ইন্টারনেটের বন্দোবস্ত তো দূরস্ত। বহু ক্ষেত্রেই তাঁদের নিজস্ব ফোন এবং ডেটা ব্যবহার করতে হয়। তবে এবার আর তাঁরা এসব করবেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তৈরি করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও সকলকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ আন্দোলনকারীদের।ডিএর দাবিতে ধর্মঘটে যোগ দিয়ে যারা কাজে আসেননি তাদের শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাজ করে কেন্দ্রের হারে ডিএর দাবি করা যাবে না। এর জেরেই নতুনভাবে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। ডিজিটাল যুগ। তাই ডিজিটাল স্ট্রাইক। এই কৌশল বেশ কার্যকরী বলে মনে করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। গত ১০ মার্চের ধর্মঘট সর্বাত্মক সফল হয়েছিল বলে দাবি করে যৌথ মঞ্চ।