দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজেই কাঁধে তুলে নিলেন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। শুক্রবার কালীঘাটে দলের নেতাদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা না হলেও সাংগঠিনিক বিষয় নিয়ে আলোচনায়। রদবদল করা হয় বেশ কিছু সাংগঠনিক পদে। গত আগস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর একটি কোর কমিটি তৈরি করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কাজকর্ম চালানোর জন্য কোর কমিটিকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্বেও দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর উঠে আসছিল। এই পরিস্থিতিতে দলনেত্রী নিজেই বীরভূমে রাশ হাতে নিলেন। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বীরভুমে সক্রিয়তাও বাড়িয়েছে বিজেপি। ২১ মার্চ বগটুইতে শহিদ দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়ে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মমতা দায়িত্ব নেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।এদিনের বৈঠকে সাংগঠনিক স্তরে আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দায়িত্ব বৃদ্ধি করা হয়।
সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি এবার মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের সংগঠন দেখভাল করবেন সিদ্দিকুল্লাও। অরূপ বিশ্বাসের কাঁধে দেওয়া হয়েছে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং দার্জিলিংয়ের দায়িত্ব। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের সাংগঠনিক দেখভালের দায়িত্ব মলয় ঘটকের। দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাপস রায়কে। তবে তাঁরা কেউই পর্যবেক্ষক নন।এই প্রসঙ্গে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের তরফে পর্যবেক্ষক বলে কাউকেই ঘোষণা হয়নি। এঁরা প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট জেলা দেখবেন বলে বলা হয়েছে। দলের তরফে তাঁরা জেলার সংগঠন দেখবেন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের কিছু কিছু পদ্ধতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এখন কোনও অবজার্ভার নেই, দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষক পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ একজনের দায়িত্ব রয়েছে, পরবর্তীকালে তাঁদের বদলে দেওয়া হতে পারে।”