Breaking News

জমি কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল বিধায়কের নামে পোস্টার,ভিন্নমত বিধায়ক-ব্লক সভাপতির,নেপথ্যে কারা?

প্রসেনজিৎ ধর :-‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আগে ভাতারের বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর ছবি ও নাম দিয়ে ‘দূর হঠো’ পোস্টার ঘিরে রবিবার শোরগোল এলাকায়। বিধায়কের দাবি, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। তবে ব্লক তৃণমূল সভাপতি এই পোস্টার বিতর্কে দলেরই একাংশকে দায়ী করছেন। এলাকায় ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর।রবিবার বিধায়কের নামে পোস্টার পড়তে দেখা যায় ভাতার থানার বনপাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া মিস্ত্রি পাড়ায়। মিস্ত্রিপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারগুলো লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পোস্টার পড়ার পর থেকেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক গুঞ্জন।পোস্টারে লেখা হয়েছে, “৩৫ টি গরীব পরিবারের কাছ থেকে জমি কেড়ে নিয়ে বড়লোককে বিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কার স্বার্থে, মহাশয় আপনি জবাব দিন।” যদিও ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী জানান, “আমি পোস্টার দেখিনি তাই বলতে পারবো না। মিথ্যা অভিযোগ। এটা বিজেপি -সিপিএমের কাজ।”ভাতার ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, “দু-একজন রয়েছে যারা একসময় দলকে ভাঙিয়ে করেকম্মে খাচ্ছিল। বনপাশ এলাকায় অনেক খাসজমি বেদখল হয়েছিল। বিধায়ক সেগুলি উদ্যোগ নিয়ে উদ্ধার করে সরকারের কাছে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন। তাই মনে হয় কয়েকজনের স্বার্থে আঘাত লাগায় তারাই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছে।” তবে তাঁর সঙ্গে একমত নন বিধায়ক। তাঁর কথায়, “আমি পোস্টার দেখিনি। তবে মনে হয়, এসব সিপিএম ও বিজেপির চক্রান্ত।” এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খোদ নিজের বিধানসভা কেন্দ্র এলাকাতেই বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার ছড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে শাসকদল।

অন্যদিকে, বিরোধীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও তা অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সহসভাপতি শ্যামল রায় জানান, “বিধায়ক মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। এর সঙ্গে বিরোধীদের কোনও যোগ নেই। এটা সম্পূর্ণভাবেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জমির দখলদারী নিয়ে কামারপাড়া এলাকার তৃণমূল নেতা চিরঞ্জীত নয়ন সামন্তের সঙ্গে বিধায়ক অনুগামীদের লড়াইয়েরই ফলশ্রুতি এটা।”তবে কে বা কারা এই পোস্টার মেরেছে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এই পোস্টার লাগিয়ে চলে গিয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *