দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বেশ কিছু নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী। তিনি জানালেন, আজ অর্থাৎ সোমবার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে বেশকিছু নথি দেখতে চাওয়া হয়েছিল। সেই নথিগুলিই তিনি নিয়ে এসেছেন। ইতিমধ্যেই সুজয় ভদ্রকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আর সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার পরই তিনি দাবি করেন, কোনও দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তারপরও কারও কারও মুখে তাঁর নাম উঠে এসেছে। তাই সিবিআই দফতরে যেতেও হয়েছে তাঁকে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তাপস মণ্ডল প্রথম তার নাম সামনে এনেছিলেন। তিনি বেহালার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনিই সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন তাঁর বসের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ‘কালীঘাটের কাকুর’ সম্প্রতি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবে সোমবার ফের সিবিআই অফিসে যাওয়ার কথা প্রসঙ্গে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিবিআই ডাকেনি। শুধুমাত্র নথি চেয়েছে। তাই প্রতিনিধি যাচ্ছেন তা জমা দিতে।তবে ‘কালীঘাটের কাকুর’ ভূমিকা নিয়ে এখনও সব সংশয় কাটেনি। তবে এর আগে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেছেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, তাপস মণ্ডলকে চিনি না, আর আমার কর্মস্থল নিউ আলিপুর। ‘কালীঘাটের কাকু’ কোথা থেকে এল বলা সম্ভব নয়। তিনি জানিয়েছিলেন আমি চাকরি দিতে পারলে ভাইঝিকেই চাকরি দিতাম। এমএ বিএড পাশ করেই ভাইঝির চাকরি হয়নি। আমি চাকরি করাতে পারলে তাদের চাকরি হয়ে যেত। তবে সূত্রের খবর এবার সুজয় ভদ্রের হিসেব নিকেশগুলো খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। তিনি কীভাবে সম্পত্তি করেছেন সেটাও দেখতে পারেন তদন্তকারীরা।এর সঙ্গেই এই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে আর কারা যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। একের পর এক সূত্র সামনে আসছে। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির কথাও সামনে আসছে। কুন্তলের বিপুল টাকা কীভাবে এসেছিল সেটাও জানার চেষ্টা করছে ইডি।