Breaking News

‘ভোটের জন্য শান্তিনিকেতনকে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বলা যায়’,নাম না করে শাহর কবিপ্রণাম নিয়ে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রবীন্দ্রজয়ন্তী নিয়েও রাজনৈতিক তরজা। জোড়াসাঁকোয় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কবিপ্রণামে রাজনীতির ছায়া দেখছে শাসকদল। পরোক্ষে তা নিয়ে সমালোচনাও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কেন্দ্রীয় নেতাদের যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব স্পষ্ট বলে তিনি উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার ধনধান্যে প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য সরকারের রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”না জেনে লিখে এনে কিংবা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সবসময়ে তাঁকে অনুভব করেন। হদয়ের মধ্যে দিয়েই রবি-উপাসনা হোক, তবে তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো।”রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে বাংলায় অমিত শাহ। এদিন সকালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্রেফ কবিগুরুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন নয়, ঘুরে দেখেন রবি ঠাকুরের বাড়ি ও সংগ্রহশালা। ভিজিটার্স বুকেও সই করেন শাহ।

এরপর আকাশ পথে যান পেট্রাপোলে। সেখানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এদিকে জন্মদিনে বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধা জানাতে আলিপুরের ধনধান্য পেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামেও তিনি কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিন তাঁর নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “আজ আমাদের শপথ নেওয়ার পালা। যে আদর্শ নিয়ে কবিগুরু বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, যে আদর্শ নিয়ে তিনি গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছেন, সেই আদর্শ থেকে আমরা যেন কখনও বিচ্যুত না হতে পারি। আমরা যেন কখনও নিজেদের আত্ম অহংকারী না ভাবি। আমরা যেন কখনও না ভাবি, নির্বাচনের প্রয়োজনে পাঁচ টাকায় কাউকে কাউকে দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়। এমনকী ভুল করে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান এ কথা বলা যায়। বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলে যায়।” শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, এর আগে অমিত শাহর এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম| এদিন সকালে তৃণমূল ভবনে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের পর তিনি বলেন, ”চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বাঙালিকে কাছে টানার চেষ্টা। তবে রবীন্দ্রনাথকে ভোটের কাজে ব্যবহার করলে হবে না। তাঁর আদর্শ বুঝতে হবে। সেই পথে চলতে হবে। অর্থাৎ সহিষ্ণুতা, সর্বধর্ম সমন্বয়। কেন্দ্র তা করে না।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *