প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দোষীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল কলকাতা পুরনিগমকে | আর তার জেরেই গত ৫ মাসে ৩৫জনকে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। নজরে ডেঙ্গু প্রতিরোধ। প্রতি বছর বর্ষা এলেই কলকাতা সহ রাজ্যের বুকে হানা দেয় ডেঙ্গু। অনেকেই আক্রান্ত হন তাতে। ঘটে প্রাণহানীর ঘটনাও। সেই ঘটনা ঠেকাতেই কলকাতা পুরনিগমের তরফে থেকে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই সব অভিযানে যেখানেই দেখা যাচ্ছে বার বার বারণ করা সত্ত্বেও বাড়ির আশপাশে ফুলের টবে, ভাঙা আসবাব পত্রে জল জমানোর প্রবণতা কমছে না এবং সেখানে দেখা মিলছে ডেঙ্গু মশার লার্ভা, সেখানেই বাড়ির বাসিন্দার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে কলকাতা পুরনিগম। সেই সূত্রেই আদালত গত ৫ মাসে ৩৫জনকে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেয়।বাড়িতে জমা জল ঠেকাতে তৎপর পুরসভার আধিকারিকরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চরিত্র বদলেছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস ইজিপ্টাই। আগে এডিস মশা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ত। বাড়ির আনাচে কানাচে, পরিত্যক্ত পাত্রে জমে থাকা জলে জন্ম হত এডিস মশার। এখন নোংরা জলেও জন্মাচ্ছে এডিস মশা। বিপদ সেখানেই। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখেন না অনেকেই। শহর কলকাতায় খোলা ড্রেনও রয়েছে কিছু বাড়িতে।
নালার সেই জমে থাকা জলও এখন এডিসের বংশবিস্তারের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারংবার তাই বাসিন্দাদের সতর্ক করছে পুরসভা। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।সপ্তাহে দু’দিন করে ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে পুরসভা। লক্ষ একটাই। কোথাও আর্বজনা জমা রয়েছে কি না দেখা। যা ডেঙ্গুর মশার বংশবিস্তারের পক্ষে সহায়ক। পুরসভা সূত্রে খবর, এমনটা দেখা গেলে প্রাথমকিভাবে সতর্ক করা হবে বাসিন্দাকে। তা না শুনলে দ্বিতীয় ধাপে কেএমসি অ্যাক্টের ৪৯৬এ ধারায় নোটিস দেওয়া হবে। সাতদিন পর ফের একবার পরিদর্শনে যাবে পুরসভার টিম। যদি দেখা যায় সতর্কতার পরেও উদাসীন বাসিন্দা, সেক্ষেত্রে মিউনিসিপ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করা হবে ওই বাসিন্দার বিরুদ্ধে। দু’পক্ষকেই হাজিরা দিতে হবে মামলা চলাকালীন। কোর্ট যদি মশার লার্ভা জন্মানোর জন্য ওই বাসিন্দাকে দোষী সাব্যস্ত করে দিতে হবে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। নির্মীয়মাণ আবাসনেও যাচ্ছে পুরসভার টিম। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস জানিয়েছেন, অনেক নির্মীয়মাণ আবাসনে মশার লার্ভা মিলছে। প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হচ্ছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal