দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। কার্যত চরমে পৌঁছল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। সম্প্রতি শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে কয়েকজন উপাচার্যকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তখনই শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, নবনিযুক্ত উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না সরকার। এবার আরও একধাপ এগিয়ে তাঁদের উপাচার্য হিসেবে পারিশ্রমিক ও ভাতা না নেওয়ার নির্দেশ দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ওই উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে, এই অভিযোগেই এবার কড়া পদক্ষেপ করল শিক্ষা দফতর। আইনি পরামর্শ নেওয়ার পরই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বেতন ও ভাতা বন্ধ সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা রাজ্যের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য।আচার্যের নিয়োগ করা উপাচার্যদের উচ্চশিক্ষা দপ্তর মানে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার নিযুক্ত উপাচার্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উপাচার্য পদের বেতন ও ভাতা গ্রহণ না করার জন্য।
সোমবার এই মর্মে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের চিঠি পৌঁছেছে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের কাছে। যেখানে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও তার বিধি মেনে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই নিয়োগ করা হয়েছে। যা আইনের চোখে বৈধ নয়। চিঠিতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০১৯ সালের আইনের কথা।যে আইনে, উপাচার্য-আচার্য যোগসাধন হবে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে, যা মানেননি রাজ্যপাল। চিঠিতে জানানো হয়েছে, এই নিয়োগকে বৈধ হিসাবে গ্রহণ করা হচ্ছে না এবং তাই রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তর উপাচার্যের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি আর্থিক অনুমোদন দিতে সম্মতি দিচ্ছে না। উপাচার্য পদের বেতন ও ভাতা না নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে অন্যথা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।তিন মাসের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের মেয়াদ শেষে রাজ্যপাল ‘এককভাবে’ অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতেই শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছিলেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনও আলোচনা ব্যতিরেকেই আচার্য এই নিয়োগ করেছেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal