দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে গিয়েছিল। তবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল থেকেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে আজ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল। এতে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তাঁর বক্তব্য ছিল, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি আর পুর নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে যোগ রয়েছে, তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়েই তদন্ত করাতে হবে। একই পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চেরও। রাজ্যের অধীন দুটো দফতরে একই ধরনের দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্তব্য আদালতের। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য।
সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার রায় দিল হাইকোর্ট।এরপর এই মামলা নিয়ে রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কি না, সেদিকে নজর থাকবে সবার। উল্লেখ্য, এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টেরও আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। পরে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ায় ফের রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই মামলায় প্রথমে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মামলার বেঞ্চ বদল হয়। এরপর মামলা ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। তিনিও সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখেন। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সিবিআই কেন তদন্ত করবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। পুরসভায় সিবিআই তল্লাশিতে অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal