Breaking News

ফিরিয়েছেন আবাস যোজনার বাড়ি!‌ভাঙা বাড়িতে থাকেন দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী,কেশপুরে দু’‌জনকে মনোনয়ন দিলেন অভিষেক

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- ভাঙা বাড়িতে থাকেন তাঁরা,আবাস যোজনায় সুযোগ মিললেও তাঁরা নেননি। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কারণ তাঁরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। এই সুবিধা নিলে দলের নাম খারাপ হবে। তাঁদের লোকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলবে। এমন দু’‌জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে নবজোয়ার কর্মসূচির জনসভায় মঞ্চে তুলে প্রশংসা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সাধারণ মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই দুই কর্মীকে মনোনয়ন দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।বুধবার দলের তরফে জানানো হয়েছে শেখ হোসিরুদ্দিন ও মঞ্জু দলবেরা কেশপুর এলাকার কলাগ্রাম ও গোলারের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী।তৃণমূল সূত্রে খবর, শেখ হোসিরুদ্দিন পেশায় বাসের হেল্পার। তাঁকে কলাগ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ নং বুথের প্রার্থী করা হয়েছে। আর গোলার গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং বুথের প্রার্থী করা হয়েছে মঞ্জু দলবেরাকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এই দু’জনের প্রার্থী হওয়া ভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দুই সাধারণ কর্মীকে মনোনয়ন দেওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। শেখ হোসিরুদ্দিন পেশায় বাসের হেল্পার হলেও এলাকায় একজন সৎ মানুষ হিসাবেই পরিচিত। আর মঞ্জু দলবেরা গৃহকর্ত্রী হয়েও মানুষের উপকার করে থাকেন। অথচ নিজের মাথায় পাকা ছাদ নেই।

তাতেও তিনি মানুষের সুখ দুঃখের সঙ্গী। এঁদের দু’‌জনকেই প্রার্থী করেছেন অভিষেক। যা স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করা হচ্ছে।গত ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে জনসভা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভামঞ্চ থেকে তিন ‘মুখ’কে তুলে ধরেন তিনি। প্রকাশ্য জনসভায় তাঁদের বাড়ির ছবি দেখিয়ে বোঝান, দুর্নীতি দূর অস্ত,ভাঙা বাড়িতে থেকেও তাঁরা আবাস যোজনার ঘর পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলছেন, দরকার নেই। এঁদের মধ্যে একজন শেখ হোসিরুদ্দিন। তাঁকে মঞ্চে ডেকে অভিষেক বলেছিলেন, ”ইনি তৃণমূল করেন না। কোনও দল করেন না। এঁকে কি দেখে মনে হয় ইনি চোর, ডাকাত, দুর্নীতিগ্রস্ত? এঁর বাড়ি দেখুন। কিন্তু আবাস যোজনায় ঘর নেননি। সামনে মেয়ের বিয়ে। এত কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছেন, তবু আবাস যোজনার ঘর নেননি। ইনি কেশপুরে পঞ্চায়েত স্তরের মুখ। এঁরাই আমাদের সম্পদ।”
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *