প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-দমদম বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু করল ডিজিসিএ। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর পর্যবেক্ষণে ডিজিসিএর একটি প্রতিনিধি দল। নিজেদের মতো করে আগুনের ঘটনায় পদক্ষেপ করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলও অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শনে যাবেন।কলকাতা বিমানবন্দরের ডিপারচার সিকিউরিটি চেকিং-এর কাউন্টারের যে জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল সেই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। কারণ ফরেনসিক আধিকারিকরা আগুন লাগার গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। তারই ঠিক পাশের সমস্ত জায়গায় মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকে সিকিউরিটি চেকিং-এর ওই কাউন্টারটি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্য কাউন্টারগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদের সুরক্ষায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে এবং যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগুন লাগার ঘটনাস্থলে কলকাতা ডিজিসিএ টিমের পাশাপাশি দিল্লির ডিজিসিএ টিমেরও পরিদর্শনে আসার কথা। ইলেকট্রিক্যাল উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদেরও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা। এয়ারপোর্ট ডিরেক্টরের নিজেরও পরিদর্শন করা সম্ভাবনা।
বুধবার রাত ৯.১০ নাগাদ বিমানবন্দরের ‘চেক-ইন’ এলাকার ‘ডি-পোর্টালে’ আগুন লেগে যায়। তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিজস্ব দমকল আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বিমানবন্দরের ডিপারচার এলাকা। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিমান যাত্রীদেরকে থ্রি সি গেট দিয়ে বাইরে বের করে আনা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে যাতে নতুন করে আগুন না লাগে প্রায় ৩০ মিনিট কুলিং প্রসেস চালানো হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাত ন’টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বিমান চলাচল ব্যাহত হয়।বিমানবন্দরের মতো এলাকায় এত বড় অগ্নিকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই আসরে নামতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। রাতে টুইটে করেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও । তিনিও বলেন, “কলকাতা বিমানবন্দরে ছোটখাটো একটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সমস্ত যাত্রী এবং কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার কারণ জানা যাবে শীঘ্রই।”