দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প। ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলায় এই প্রকল্প চালু করেন বাংলার অগ্নিকন্যা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬ বছরে এই প্রকল্পের পিছনে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ৯০০০ কোটি টাকা। আর সেই সূত্রে বিনামূল্যের চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন বাংলার ৬০ লক্ষ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও সুচিন্তিত পরিকল্পনার বাস্তবায়নে নজির তৈরি করেছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’। আজ দেশের অনান্য রাজ্যগুলিও ভাবছে কোন পথে স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প চালু করা যায় নিজ নিজ রাজ্যে। নবান্নের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ বছরে সম্পূর্ণ বিনা খরচে চিকিৎসা পেয়েছেন বাংলার প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষজন। আর এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতেই নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। এখন এই প্রকল্প আরও বিস্তার করতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম, হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।দুয়ারে সরকার কর্মসূচি থেকেই এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন রাজ্যবাসী। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেও বসবে দুয়ারে সরকার শিবির। এই কার্ডের মাধ্যমে ক্যান্সারের চিকিৎসা, ডায়ালিসিস, স্টেন্ট এমনকী পেসমেকার পর্যন্ত বসানোর কাজ হয়েছে। যা আগে গরিব মানুষের জীবনে এমন সমস্যা এলে কার্যত পথে বসতে হতো। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প রাজ্যে চালু হওয়ার পর বহু গরিব পরিবারই উপকৃত হয়েছে। এখন মনোবলও বেড়েছে তাঁদের। কিছু হলেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন। এখন এই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা ১ কোটি থেকে বেড়ে তা এখন ৯ কোটি হয়েছে। উপকৃত পরিবার প্রায় ২ কোটি ৪৩ লক্ষ।