দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে পালিত হবে, তা ঠিক করতে আজ মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বহু বিশিষ্টজনকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মঙ্গলবারের বৈঠকে যাচ্ছে না সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের কোনও শরিকদল। রবিবার ফ্রন্টের বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাজির থাকছে না রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। বামেরা যে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাবে না, তা লিখিত ভাবেও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালিত হয় রাজভবনে। ঠিক যেমন পালিত হয়েছিল গোয়া দিবস, সিকিম দিবস, এমনকী, তেলেঙ্গানা দিবসও। কারণ, কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, দেশের প্রতিটি রাজভবনেই বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিষ্ঠাদিবস পালন করতে হবে। শুধু তাই নয়, তালিকায় ২০ জুন তারিখটিকেই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।এদিকে কোন দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা যায়, তা ঠিক করতে নবান্নে আজ সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই চিঠি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম ও সিপিআই। সূত্রের খবর, ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে কেন তৎপরতা’? প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে তারা। সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতে, ‘একটা বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা নিয়ে, বিচ্ছিন্নতাবাদী স্লোগানের ভিত্তি সভা করছেন। বামপন্থীরা যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যাবে না, সঠিক সিদ্ধান্ত’।সর্বদল বৈঠকে থাকবে না বিজেপিও। দলের অন্যতম মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘একটি অনৈতিহাসিক ও অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে সামনে এনে ইতিহাস বিকৃত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হচ্ছে। তার শরিক বিজেপি হবে না।’’ মঙ্গলবার নবান্নের সর্বদলীয় বৈঠকে যোগদান করবে না কংগ্রেসও । প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি ওই বৈঠকে যাবেন না। না যাওয়ার যুক্তি হিসাবে কংগ্রেস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ দিবসের নামে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপির লড়াই চলছে। এ নিয়ে কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই। যদি সর্বদল বৈঠক ডাকতেই হয়, তাহলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন।এর আগে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের সিদ্ধান্তে আমি স্তম্ভিত। আপনার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। আপনি মেনে নিয়েছিলেন যে, কোনও একটি নির্দিষ্ট দিনকে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা কাঙ্খিত নয়’।