প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে এখন গোটা রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। এই ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশি তদন্তে এমন অনেক তথ্য মিলেছে যেখানে র্যাগিংয়ের প্রমাণ স্পষ্ট। র্যাগিং রোখার জন্য নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে কলকাতার গুরুদাস কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অভিযোগ, তাকে র্যাগিং করা হয়েছে। এই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ তো বটেই, ইউজিসি-র কাছেও অভিযোগ করেছে ওই ছাত্র। ওই ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতেই কলেজের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি।সূত্রের খবর, অভিযোগকারী ওই পড়ুয়া প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি অভিযোগ করেছেন যে কলেজে আসার পর তাঁকে নানাভাবে র্যাগিং করা হয়েছে। কলেজের এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছে ওই পড়ুয়া। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই ছাত্রনেতা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়ে গুরুদাস কলেজের টিএমসিপি-র কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও পর্যন্ত।এই অভিযোগ পাওয়ার পরই ইউজিসি-র পক্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে ইজিসি-র গাইড মেনে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলেজের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। টিএমসিপি নেতা বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সেই বয়ান রিপোর্ট আকারে ইউজিসি-র কাছে পাঠানো হবে। সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মানতে রাজি নন ওই ছাত্র নেতা। গুরুদাস কলেজে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ওই ছাত্র নেতার দাবি, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সোমবারই মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,’ র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাসই আমাদের লক্ষ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে হেল্পলাইন চালু করেছেন।’ তিনি সিসিটিভি লাগানোর পক্ষে সওয়াল করে বলেন,’এক শ্রেণির লোক সিসিটিভি লাগনোর বিরোধিতা করছে। আমরা সিসিটিভি লাগাবই।’ কিন্তু এই সমাবেশের পরদিনই টিএমসিপি ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল।