প্রসেনজিৎ ধর :- ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়াকে তলব করেছেন ইডি। ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন না অভিষেক। পরিবর্তে তিনি ইডি দফতরেই যাবেন। এমনটাই সূত্রের খবর। এনিয়ে এবার সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানা করলেন কেন্দ্রকে।সোমবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বুধবার অভিষেককে ইডি তলব নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, ”এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। অভিষেককে বারবার বিরক্ত করা হচ্ছে এভাবে। যখন-তখন ডেকে পাঠানো হচ্ছে। কোনও অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত করুক কিন্তু এভাবে হেনস্তা কেন? এসব সিদ্ধান্ত কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপির ক্ষেত্রে ব্যুমেরাং হতে পারে। আজ একটা দল ক্ষমতায়, কাল অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ঠিক রাখতে হবে। সেটাই গণতন্ত্রের পক্ষে কাম্য।”তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে ইডির তলবকে ‘নতুন প্রজন্মের উপর আক্রমণ’ হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আসলে ওরা তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। কিন্তু নতুন প্রজন্ম এ সব মানবে না। হিম্মত নিয়ে লড়বে।’’ তিনি আরও বলেন, ”গণতন্ত্রে এটা হয় যে কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভাল হতে পারে, কারও নাও হতে পারে। আমি তো সিপিএমের কাউকে (যারা ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল) টাচও করিনি। ওরা আমাদের যুব রাজনৈতিক নেতাদের সহ্য করতে পারছে না। আজ আপনারা ক্ষমতায় আছেন, তাই এসব করছেন। কাল আপনারা যখন ক্ষমতায় থাকবেন না, তখন তো অন্য কেউ আসবে। তারাও তো এটাই করবে।” এর আগে গত ২০ মে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সূত্রে অভিষেককে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময়ে ‘নবজোয়ার’ যাত্রা থামিয়ে চলে এসেছিলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে অভিষেককে হাজিরার নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। তারপর একবার ইডিও তলব করেছিল। কিন্তু সে বার অভিষেক জানিয়ে দেন, ‘নবজোয়ার’ শেষ হলেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপর যা হওয়ার দেখা যাবে। তবে বেছে বেছে ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিনই অভিষেককে তলবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবে দেখছে তৃণমূল।