প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার ঊর্ধ্বসীমা থাকা উচিত বলে ফের একবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যুক্তি, বয়স বাড়লে পরিশ্রম করার ক্ষমতা কমে যায়। তবে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা দলের প্রয়োজন। সোমবার দমদম বিমানবন্দরে একথা বলেন তিনি।এদিন অভিষেক বলেন, তৃণমূলের ভিতরে যে কেউ ব্যক্তিগত মতামত দিতে চান দিতে পারেন। শুধু দল বলে নয়, যে কোনও জায়গায় আমি মনে করি উর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। যে পরিশ্রম একজন পঞ্চাশ বছরের মানুষ বা চল্লিশ বছরের মানুষ করতে পারেন সেটা কোনও দিন বয়স বেড়ে গেলে করতে পারব না। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কুণাল ঘোষ বলতে পারেন। তবে প্রবীণদেরও অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁদের অভিজ্ঞতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে লোকসভা নির্বাচনে প্রবীণরা টিকিট পাবেন কি না তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ঠিক করবেন বলে জানান অভিষেক। তিনি বলেন, নেত্রী আমার কাছে এব্যাপারে পরামর্শ চাইলে আমি তাঁকে জানাব।সোমবার অভিষেকের এই বক্তব্যের পর উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে কি বয়সের উর্ধ্বসীমা বেধে দেওয়া হবে? তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদরা রয়েছেন তাঁদের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে কি জিজ্ঞাসা চিহ্ন রইল? নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ঘাসফুল শিবিরের আজকের নয়। ‘নতুন তৃণমূলের’ সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ‘পারফর্মেন্স’-এর উপর জোর দিয়েছিলেন ‘তৃণমূল সেনাপতি’ বলেছিলেন, “বয়সের নীরিখে নবীন-প্রবীণ নয়, পারফর্মেন্সের নিরিখে যাঁরা যোগ্য তাঁদের প্রার্থী করা হবে। এটাই নতুন তৃণমূলের সংজ্ঞা।” আজ অভিষেক বলেছেন, “শুধু দল বলে নয়,আমি মনে করি যে কোনও জায়গায় উর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। যে পরিশ্রম একজন পঞ্চাশ বছরের মানুষ বা চল্লিশ বছরের মানুষ করতে পারেন সেটা কোনও দিন আমার বয়স বেড়ে গেলে করতে পারব না।”