দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিজেপি-কে ‘পকেটমারের’ সঙ্গে তুলনা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত বুধবার বিধানসভা চত্বর কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে তৃণমূল-বিজেপি-র ধরনায়। দুর্নীতি ও বঞ্চনাকে হাতিয়ার করে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবারও একই ছবি বিধানসভায়। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কক্ষে প্রবেশ করতেই ‘চোর’ স্লোগান তুলে অধিবেশন ছাড়েন পদ্মবিধায়করা। এ প্রসঙ্গে আজ মুখ খোলেন অভিষেক। বিজেপি বিধায়কদের পকেটমার বলে উল্লেখ তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, যাঁরা নিজেরা চুরি করে তাঁরাই দূরে দাঁড়িয়ে এমন চোর বলে অন্যকে। এদিন অধিবেশ শুরুর আগে থেকেই বিধানসভা কক্ষে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির ছিলেন বিজেপি বিধায়করাও। অধিবেশন শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের ডাক দিয়ে ‘চোর’ স্লোগান তুলে কক্ষ ত্যাগ করেন তাঁরা। অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারীকে আকারণে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর পর বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট কক্ষে চলে যান তাঁরা।উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, “যে সব থেকে বেশি চেঁচাচ্ছেন তাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। ছোটবেলায় আমরা শুনতাম যে চুরি করে সে কিছুটা দৌড়ে পালিয়ে চোর, চোর করে চেঁচায়। এরাও সেই পকেটমার। নিজেই পকেট কেটে দৌড়ে চোর, চোর বলে চেঁচায়।” নাম না করে আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তাঁর তোপ, “যাদের চোর বলছে তাদের টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা যায়নি। নারদের মুখ্য চরিত্রে যিনি ছিলেন তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হল না। যে কাগজে মুড়ে টাকা নিল, সে ধোয়া তুলসিপাতা বিজেপিতে গিয়েছে বলে। যারা চোর চোর বলছে তারা নিজে জানে কত বড় চোর। তাই অপরকে চোর বলে নিজেদের দোষ ঢাকছে।”