Breaking News

জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলায় আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, মৌখিক রক্ষাকবচ পেল বিজেপি বিধায়করা!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শাসক দলের দাবি, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। আর বিজেপির দাবি, জাতীয় সঙ্গীতের কথা তাঁদের আগে থেকে জানানো হয়নি। তাঁরা যখন ধরনা দিচ্ছিলেন, তার মাঝেই শুরু হয়ে যায় ‘জন গণ মন…’। সেই মামলায় বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতার না করার মৌখিক নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ধর্না আগে থেকেই চলছিল, পরে বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। অর্থাৎ জাতীয় সঙ্গীত শুনেও তাঁরা থামেননি, এমনটা নয়। এই মামলা থেকে বিধায়করা অব্যাহতি পাবেন কি না, সে ব্যাপারে এখনও কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।এদিনের শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী বলেন, জাতীয় সংগীত গাওয়ার আগে কোনও ঘোষণা হয়নি। কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ আদালতের মধ্যে কেউ জাতীয় সংগীত গেয়ে উঠলে অবমাননার অভিযোগ আনা যায় কি? বিজেপি বিধায়করা আগে থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। জাতীয় সংগীত শুরুর পর স্লোগান দেওয়া শুরু করেননি। তখন বিধানসভার অধিবেশনও চলছিল না। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ঘোষণা না করে জাতীয় সংগীত গাওয়া হলে অবমাননার অভিযোগ আনা যায় কি? এক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা জাতীয় সংগীত শুনতে পেয়েছিলেন তা প্রমাণ হবে কী করে?পালটা সরকারি আইনজীবী বলেন, বিষয়টা অনেক জটিল। সংবিধান কী বলে এক্ষেত্রে খতিয়ে দেখতে হবে। এর পর বিচারপতি মধ্যাহ্নভোজের বিরতির জন্য উঠে যান। বলে যান, এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। মৌখিক নির্দেশ দিচ্ছি। বুধবার কলকাতায় অমিত শাহের সভার দিন বিধানসভায় আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসে তৃণমূল। সেই ধরনায় ‘মোদী ও শাহ চোর’ স্লোগান ওঠে। সেকথা জানতে পেরে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সেখানে পৌঁছে পালটা চোর স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। কর্মসূচি শেষে জাতীয় সংগীত গান তৃণমূল বিধায়করা। তবে তখনও স্লোগান দিচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। এর পরই স্পিকারের কাছে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন ৩ মন্ত্রী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *