দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হতে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ করেছিলেন বিধায়কের বাবা স্বয়ং। কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়ে একটি মামলাও করেন তিনি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু এই মামলা শুনলেন না বিচারপতি। উল্টে তা ফেরত পাঠালেন নিম্ন আদালতেই।জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহার অভিযোগ, নিজের বাড়ি থেকে মারধর করে তাঁকে বার করে দিয়েছে বিধায়ক ছেলে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। নিজের বাড়িতে প্রবেশাধিকার ফেরত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্বনাথবাবু। বিষয়টি পারিবারিক বলে জানিয়ে নিম্ন আদালত ফেরত পাঠিয়ে দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।বিশ্বনাথবাবুর দাবি, মুর্শিদাবাদের আন্দিতে তাঁর নিজস্ব বাড়ি থাকলেও ব্যবসায়িক কাজে সুবিধার জন্য কান্দি শহরে একটি বাড়ি করেছিলেন তিনি। সেই বাড়িতে রয়েছে একটি রেশন দোকান। বিশ্বনাথবাবুর অভিযোগ, চলতি বছরের শুরুতে তাঁকে মারধর করে ওই বাড়ি থেকে বার করে দেন জীবনকৃষ্ণ। নিজের বাড়িতে বসবাসের অধিকার ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিধায়ক ছেলের প্রতাপে পুলিশও তাঁকে সাহায্য করেনি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।এ কথা শুনে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, বিষয়টি একান্তই পারিবারিক। তাই এব্যাপারে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন নেই। বিশ্বনাথবাবু নিম্ন আদালতে আবেদন করতে পারেন। জীবনকৃষ্ণের মা বেলারানি সাহার দাবি অবশ্য আলাদা। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর বাড়িতে থাকেন না তিনি। বৃদ্ধে বেলারানি জানানা, জীবনকৃষ্ণের যখন ৭ বছর বয়স তখন বেলারানিদেবীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন বিশ্বনাথবাবু। তারপর ফের বিয়ে করেন তিনি। উপার্জন না থাকায় জীবনকৃষ্ণসহ সন্তানদের বাবার কাছে রেখে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন বেলারানি। তার পর থেকে সন্তানদের সঙ্গে তাঁকে আর যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। জীবনকৃষ্ণ বড় হলে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি মা-কে জানান, সৎ মায়ের সংসারে অনাহারে দিন কেটেছে তাঁর।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal