দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- নতুন বছরের শুরুতেই রেশন-ধর্মঘটের পথে হাঁটছেন রেশন ডিলাররা। সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেশন বনধ্-এর দাবি করেছেন তাঁরা। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সেই বনধ্ শুরু হবে। তার আগে আজ শুক্রবার ধর্মতলায় খাদ্য ভবনের সামনে সকাল ১১টা ধরনা শুরু করেন রেশন ডিলাররা। বিকাল ৪টে পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি। পাশাপাশি ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে রেশন ডিলারদের সমাবেশও রয়েছে।
কমিশন বাড়ানো-সহ একাধিক দাবিতে খাদ্যভনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন রেশন ডিলাররা। তাদের দাবি অবিলম্বে কমিশন বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে ১ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘটে যাবেন তাঁরা। শুক্রবার সকাল থেকে খাদ্যভবনের সামনে জমায়েত হবে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রেশন ডিলারা। তাঁরা ডেপুটেশনও দেন খাদ্যমন্ত্রীর কাছে। করোনার সময় থেকে রেশন ডিলাররা কমিশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। তাঁরা জানিয়েছে, রেশনে ১ কুইন্টাল চাল বা গম গ্রাহকদের হাতে তুলে দেন ৯৫ টাকা কমিশন পান ডিলাররা। তাঁদের দাবি, বিভিন্ন কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, ৪৫৭ টাকা কমিশন দেওযার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তা এখনও পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ায় ডিলাররা খুশি নয়। তাঁদের অভিযোগ যে পরিমাণ কমিশন পান, তা দিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ দায় হয়ে উঠেছে। তাই তাঁদের দাবি অবিলম্বে, কমিশন কাঠামোর সংস্কার করা হোক।রেশন ডিলারদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের উপর পরস্পরের ঘাড়ে দায় ঠেলছে। সে কারণেই তাঁরা ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “আমাদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে রেশন ব্যবস্থা চালাতে হচ্ছে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তা সম্ভব নয়। বারবার রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েছি। সুরাহা কিছুই মেলেনি। উল্টে পশ্চিমবাংলায় যেটা হয়েছে, যার জন্য এই ধরনা, পিডিএস কন্ট্রোলারের নামে রেশন দোকানদারদের উপর মানসিক নির্যাতন নামিয়ে আনা হয়েছে। আসলে রেশন দুর্নীতিকে আড়াল করতে রেশন দোকানদারদের উপর চাপ দিতে চাইছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথে নেমেছি।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal