প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :- তিন কোটি টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা দিয়েই চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের দুমাসের বেতন দেওয়া হবে। পুরসভার অচলাবস্থা নিয়ে বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল জট। আগামী চারদিনের মধ্যে দুমাসের বকেয়া বেতন পাবেন চুঁচুড়া-হুগলি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। যার ফলে কুড়ি দিন ধরে চলা আন্দোলনে দাঁড়ি পড়ল শুক্রবার। রাজ্য সরকারের থেকে পাওয়া তিন কোটি লোনের টাকায় বাকি বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর, অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিমের তৎপরতায় জট কাটায় খুশি অস্থায়ী কর্মীরা।পুরসভাকে আয় বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আন্দোলনকারী সাত জন প্রতিনিধির সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করে এ কথা জানান বিধায়ক। বিধায়ক আরও বলেন, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের মাসে বেতন দিতে দেড় কোটি টাকা খরচ হয়, অথচ পুরসভার আয় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা। বাকি টাকার সংস্থান করতে না পারায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কর্মীরা শুক্রবার থেকে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন|
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবারই ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস ফোন করেই সমস্যা সমাধান করার জন্য বলেন। আধিকারিক জলি চৌধুরীকে পাঠান। তিন কোটি টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছে যা দিয়ে দু মাসের বেতন কর্মচারীদের দেওয়া হবে।চেয়ারম্যান অমিত রায়ের কথায়, “পুরসভার আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাই বেতন দিতে বিলম্ব হয়েছে। আমরা ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি দুমাসের বেতনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আগামী মাসের বেতনের ব্যবস্থা পুরসভাকেই করতে হবে। কীভাবে আয় বাড়ানো যায় তার জন্য আমরা আলোচনা করছি।” অস্থায়ী কর্মী অসীম অধিকারী জানান, “আমাদের সমস্যা মেটানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। বড়দিনের আগে আমরা শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করব।”