দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আপাতত কড়া পদক্ষেপ নয়। সন্দেশখালির ঘটনায় মৌখিক নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। পুলিশ আপাতত ইডি আধিকারিকদের কোনও গ্রেফতার করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়েছিল ইডি। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। বাড়ির দরজায় তালা লাগানো ছিল। সেই তালা যখন ইডি আধিকারিকরা ভাঙতে যান, তখন তাঁদের দিকে তেড়ে এসেছিলেন গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা। আক্রান্ত হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। এক জনের মাথা ফেটে যায়।আক্রান্ত হতে হয় সিআরপিএফ জওয়ানদেরও। এই ঘটনায় ইডি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করে। আবার ইডি-র বিরুদ্ধেও থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় শেখ শাহজাহানের পরিবারের তরফে।পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত ইডি বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়। সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী সওয়াল করেন, “একটা ঘটনায় ৪টে এফআইআর হয়েছে। তার মধ্যে একটা আমাদের বিরুদ্ধে। সেটার কপি পাচ্ছি না।” এদিন আদালতে রক্ষাকবচের আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইডির বিরুদ্ধে যেন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার। ওদিকে এদিন রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, ইডি পুলিসকে না বলে তল্লাশিতে গিয়েছিল। এর পাশাপাশি সন্দেশখালিকাণ্ডে এদিন হাইকোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে ইডি। সন্দেশখালিকাণ্ডে এফআইআর খারিজের দাবি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেকটরেট।
মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মামলার দ্রুত শুনানির আবেদনও জানিয়েছে ইডি।প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডে গতকাল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। সন্দেশখালিতে তাদের উপরে হামলা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ইডি। ইডির অভিযোগ, “রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি অফিসাররা। উলটে ইডির অফিসারদের বিরুদ্ধে পুলিস এফআইআর করেছে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। আমরা বসিরহাট কোর্টেও খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু সেখানেও এমন কোনও এফআইআর কপি যায়নি। ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। উলটে প্রতিদিন আমাদের অফিসে পুলিস খোঁজ করছে, কোন কোন অফিসার সেদিন সেখানে গিয়েছিল। আমাদের আশংকা তাদের নামেও নতুন অভিযোগ দায়ের করা হবে হেনস্থার জন্য।” ইডির আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন।