দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ঢাকুরিয়া রেল বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন। এদিন দুপুরে আচমকাই রেল লাইন সংলগ্ন বস্তিতে আগুন লেগে যায়। গিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। যার জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় দীর্ঘক্ষণের জন্য ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। আপ এবং ডাউন দুই লাইনেই দাঁড়িয়ে যায় অনেক লোকাল। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ঢাকুরিয়া-যাদবপুরের মধ্যে থাকা অন্তত সাত থেকে আটটি ঝুপড়ি। প্রথম স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালেও খবর পেয়ে ছুটে আসে দমদলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা। বুধবার দুপুরে যাদবপুর এবং ঢাকুরিয়া রেললাইনে মাঝে থাকা ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যে সেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক ঝুপড়িতে। ঘর থেকে কোনওরকমে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ঝুপড়িবাসী। আগুন লাগার জেরে বিঘ্নিত হয় ট্রেন পরিষেবা। ঢাকুরিয়ায় রেললাইন সংলগ্ন ঝুপড়িতে আগুন লাগায় বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে গরিব মানুষজনের। পয়লা বৈশাখের আগে এমন ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে বাসিন্দাদের। ঠিক কী থেকে আগুন লেগেছে সেটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।পুলিশ সূত্রে খবর, আজ দুপুর ১টা ১০ মিনিট নাগাদ ঢাকুরিয়া রেল গেটের কাছে অবস্থিত ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন লাগার পর বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। কারণ সেখানে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানতে পারা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলবাহিনী। কিন্তু লাইনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই আগুন লাগার ঘটনা খতিয়ে দেখছেন দমকল দফতরের অফিসাররা। তবে এই আগুনের জেরে কোনও হতাহতের খবর এখনও মেলেনি।এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগুন লাগার পর বিকট শব্দ শুনতে পান বাসিন্দারা। যেহেতু ওই ঝুপড়িতে মানুষজন বসবাস করতেন তাই সেখানে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। সেগুলিও আগুনের কবলে পড়ে ফাটতে থাকে। তখনই ঘর থেকে সবাই বেরিয়ে আসেন। খবর দ্রুত দেওয়া হয় দমকলে। একেবারে রেললাইন লাগোয়া ঝুপড়ি হওয়ায় একটা সমস্যা তো আছেই। তার উপর আগুন লাগায় শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আপ ও ডাউন লাইনে একের পর ট্রেন থমকে দাঁড়িয়ে পড়তে থাকে। ভোগান্তি পোহাতে হয় ট্রেন সফররত যাত্রীদের।