ইন্দ্রজিত মল্লিক: বেলডাঙা ও শক্তিপুরে রাম নবমীতে মিছিলের অশান্তির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। যেখানে ৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ মিছিল হতে পরে না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের প্রয়োজন নেই। এমনিই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি বলেন, “যেখানকার মানুষ ৮ ঘণ্টা নিজেদের উৎসব শান্তিপূর্ণ করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলবো বহরমপুরে ভোট পিছিয়ে দিতে।”মঙ্গলবার বেলডাঙা ও শক্তিপুরে রাম নবমীতে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানি ছিলো। এর আগেও বাম আমলে বেলডাঙা ও শক্তিপুর ধর্মীয় ভাবে অতন্ত স্পর্শকাতর। যদিও নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এখনোও পর্যন্ত কোনও অর্ডার তাদের কাছে আসেনি। এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন, “নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনও মনে নেই। নির্বাচন কমিশনের সাথে আমার কথা হয়েছে। ভোট শান্তিপূর্ণই হবে।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের পর মমতা ব্যানার্জির লাজ-লজ্জা থাকে তাহলে পদত্যাগ করা উচিত।” যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের প্রধান বিরোধী দল পরিকল্পিত ভাবে এই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান বিচারপতি আস্থা রাখতে পারেন, ভোট শান্তিপূর্ণই হবে।”প্রসঙ্গত, সিআইডি এই মামলার তদন্ত করলেও মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও রাজ্য তদন্তকারী সংস্থাকে হাইকোর্টে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।