প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-ফের বিপাকে বিমল গুরুং। মদন তামাং হত্যা মামলায় বিমল গুরুং-এর নাম অভিযুক্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত। হাই কোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত নির্দেশ দিয়েছেন, গুরুংয়ের বিরুদ্ধেও চার্জ গঠনের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ২০১৭ সালে নগর ও দায়রা আদালত গুরুংকে স্বস্তি দিয়ে ওই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে তাঁকে রেহাই দিয়েছিল। সেই নির্দেশ বাতিল করে দিল হাইকোর্ট। নগর ও দায়রা আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মদন তামাংয়ের স্ত্রী ভারতী তামাং। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে এই মামলায় ফের যোগ করা হল গুরুংয়ের নাম।
বৃহস্পতিবার এক নির্দেশে বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত নির্দেশ দেন, মদন তামাং হত্যা মামলায় বিমল গুরুংয়ের নাম অভিযুক্ত হিসাবে সংযুক্ত করতে হবে। ২০১০ সালের ২১ মে দার্জিলিংয়ের পিনটেইল ভিলেজে গোর্খা লিগের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ সেখানে পৌঁছন মদন তামাং। তখন ওই ময়দানে হাজির ছিলেন বহু গোর্খা লিগ সমর্থক। তাদের ওপরে হামলা চালায় প্রায় দেড়শ দুষ্কৃতী। পাথর ছুড়তে থাকে তারা। এর মধ্যে কয়েকজন সরাসরি মদন তামাংয়ের ওপরে হামলা চালায়। খুকরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় মদন তামাংকে। দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পরই সেখান থেকে নিকোল তামাং নামে এক দুষ্কৃতীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। কিন্তু সে পুলিশ হেফাজত থেকে পালায় বলে দাবি। মদন তামাং হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তাদের পেশ করা চার্জশিটে বিমল গুরুং, তাঁর স্ত্রীসহ ৪৮ জন গজমুমো নেতার নাম ছিল। কিন্তু কলকাতার নগর দায়রা আদালত ২০১৭ সালে ওই মামলা থেকে বিমল গুরুংয়ের নাম বাদ দিতে নির্দেশ দেয়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভারতী তামাং। সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা করেন তিনি। তদন্ত শেষ করে সিবিআই প্রথম যে চার্জশিট পেশ করেছিল তাতে বিমল গুরুংয়ের নাম ছিল না। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করার পর তারা যে চার্জশিট পেশ করেন তাতে গুরুংয়ের নাম ছিল। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে খুনের মামলায় বিমল গুরুংয়ের নাম যুক্ত করে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে হবে সিবিআইকে।