দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- আগামী ১০ জুলাই রাজ্যে চার কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার আগে চার কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। মানিকতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন কল্যাণ চৌবে। বাগদায় প্রার্থী হচ্ছেন বিনয়কুমার বিশ্বাস। রাণাঘাট দক্ষিণে টিকিট পেয়েছেন মনোজকুমার বিশ্বাস। রায়গঞ্জ থেকে লড়বেন মানসকুমার ঘোষ।২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা প্রয়াত সাধন পাণ্ডে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন। কিন্তু তারপর দীর্ঘ দিন মানিকতলা বিধায়কহীন থাকলেও সেখানে উপনির্বাচন হয়নি। কারণ, গত বিধানসভায় এই কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে কলকাতা হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দাখিল করেছিলেন। সম্প্রতি সেই আইনি জটিলতা কেটে যায়। কল্যাণকেই মানিকতলায় প্রার্থী করেছে পদ্মশিবির। তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রয়াত সাধনের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে।গত বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। পরে তিনিও দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে বনগাঁ কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে হেরে যান তিনি। বিশ্বজিৎ বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ায় বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। সেখানে অবশ্য বিশ্বজিৎ নন, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর প্রার্থী হয়েছেন।২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ এবং রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী এবং মুকুটমণি অধিকারী। পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে এবং মুকুটমণিকে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী করে রাজ্যের শাসকদল। দু’জনেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। ফলে এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি দু’জনের কেউই। তবে লোকসভা ভোটে জিততে না পারলেও ‘দলবদলু’ দুই নেতার উপরেই বিধানসভা উপনির্বাচনে ভরসা রেখেছে তৃণমূল। ছেড়ে দেওয়া আসনে ফের প্রার্থী করা হয়েছে কৃষ্ণ এবং মুকুটমণিকে।লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় একেবারেই ভাল ফল করতে পারেনি বিজেপি। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে উপনির্বাচনে ভাল ফল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছিলেন। কিন্তু লোকসভার মত ভুল না করে অনেক বিবেচনা করে তবেই টিকিট দেওয়া হয়েছে। নতুন মুখ না এনে পুরনো নেতৃত্বের ওপরেই আস্থা রাখল বিজেপি।