দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- পূর্ব কলকাতা জলাভূমিকে আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে, বুধবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই স্পষ্ট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। অভিযোগ, পূর্ব কলকাতার এই জলাভূমি বুজিয়ে সেখানে বাড়ি, কারখানা , রিসর্ট তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগ, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি বুজিয়ে বহুতল, বাড়ি, কারখানা এমনকি রিসোর্ট হয়েছে। ফের সেই সমস্ত জায়গাকে দ্রুত আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ওয়েট ল্যান্ড অথরিটিকে ৩১ জুলাই কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে বেআইনি নির্মাণের যাবতীয় নথি CESC ও WBSEDCL-কে দিতে হবে। কোথায় কোথায় বেআইনি নির্মাণে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে সে সব খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে ওই দুই সংস্থা। নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। ক্ষুদ্ধ জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়েও। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আংশিকভাবে নয়, সামগ্রিকভাবে এই বেআইনি নির্মাণের প্রেক্ষিতে ঠিক কী পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন?এদিন এ প্রসঙ্গে সওয়াল জবাবের সময় কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় বিচারপতিকে। রীতিমতো ক্ষোভের সুরেই বলেন, “এতদিন ধরে কী করেছে প্রশাসন? কোনও আংশিক কাজ নয়, সামগ্রিকভাবে কী করেছেন ডিএম? ভাঙা কী শুধু কাগজ কলমে হয়েছে? ওই জলাভূমিকে আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে। এতদিন ধরে কি করছে প্রশাসন? আর কতদিন এই সব বেআইনি নির্মাণ দাড়িয়ে থাকবে?” এখানেই না থেমে জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ডিএম উদাসীন আচরণ করছেন, বলতে বাধ্য হচ্ছি।” রাজ্য আদালতে জানায়, ‘গত ডিসেম্বর মাসের হলফনামা অনুযায়ী, তিনতলা বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি বেআইনি নির্মাণ ইতিমধ্যেই ভাঙা হয়েছে। ৫২টি নির্মাণের ক্ষেত্রে ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ৫০০টির বেশি বেআইনি নির্মাণ সেখানে রয়েছে। পুরসভা ও জেলা প্রশাসন কাজ করছে।’