দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্য সরকারের ‘উৎসশ্রী’ পোর্টালের এখন ঠিক কী অবস্থা তা জানতে চেয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২১ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের কাছে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। শিক্ষক–শিক্ষিকাদের বদলির ক্ষেত্রে যাতে সুবিধা হয় তাই উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই পোর্টাল চালু হওয়ার পর নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। দিনের পর দিন আবেদন জানিয়েও সুরাহা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। শিক্ষক–শিক্ষিকাদের একাংশ মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে।জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে কর্মস্থানে বদল চেয়ে উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন জানান অপরূপা পাঠক। বর্তমানে তিনি নদিয়ার জামশেরপুরে কর্মরত। তিনি বদলি হয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় যেতে চান। ২০২২-এ আবেদন করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তার পরই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা। তাঁর দাবি, ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি আবেদন করছেন, পোর্টাল সাসপেন্ড করে রেখেছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য রাজ্যের কাছে জানতে চান উৎসশ্রী পোর্টালের বর্তমান অবস্থা।তিনি জিজ্ঞাসা করেন, এই পোর্টাল নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য। রাজ্যের অবস্থান জানতে পারলে এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ দিতে সুবিধা হয় বলে জানান বিচারপতি। ২১ জানুয়ারির মধ্যে প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে হবে রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের উৎসশ্রী পোর্টাল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে বন্ধ রয়েছে ওই পোর্টাল।২০২২ সালে এক স্কুল থেকে আর এক স্কুলে বদলি চেয়ে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টালে আবেদন করেন অপরূপা পাঠক নামে একজন শিক্ষিকা। কিন্তু তারপর এত সময় কেটে গেলেও তিনি নদিয়ার জামশেরপুরে কর্মরত রয়ে গিয়েছেন। তিনি বদলি চেয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় যেতে চান। যেহেতু সেখানেই তাঁর সবকিছু। ২০২২ সালে ওই শিক্ষিকা আবেদন করার পর আড়াই বছর কেটে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা অপরূপা পাঠক। তারপরই তলব করল রিপোর্ট। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।