Breaking News

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লাগাম টানল রাজ্য! নবান্নের তরফে জারি নির্দেশিকা

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ‘অনুমতি ছাড়া কোন ধরনের প্রাইভেট প্রাকটিস নয়’। সরকারী হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিত্‍সকদের জন্য এবার নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় উল্লেখ, সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কোনও অধ্যাপক চিকিত্‍সক যদি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে চান, তাহলে ডিরেক্টর অফ হেল্প এডুকেশনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট লাগবে। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে কোয়ার্টার প্রাইভেট প্র্যাকটিশ করা যাবে না।একটি সরকারি আদেশনামা জারি করে জানানো হয়েছে, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য শুধুমাত্র নন-প্র্যাকিটিসিং অ্যালাওয়েন্স না-নিলেই চলবে না, এবার থেকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা কিংবা স্বাস্থ্য–শিক্ষা অধিকর্তার থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)–ও নিতে হবে সরকারি ডাক্তারদের। সবচেয়ে বড় কথা, তারই সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরও এককাঠি ওপরের কড়াকড়ি— কর্মক্ষেত্রের ২০ কিলোমিটারের বাইরে করা যাবে না প্রাইভেট প্র্যাকটিস। অর্থাৎ, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে চাকরি করে কলকাতা-সহ সংলগ্ন প্রাইভেট প্র্যাকটিস চলবে না।গত সপ্তাহেই সরকারি চিকিৎসকরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না বলে আদেশনামা জারি করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। তাতে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক চিকিৎসককে সপ্তাহে ন্যূনতম ৬ দিন এবং ৪২ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে। আরও বলা হয়েছিল, রাতে অন–কল ডিউটিতে কোনও চিকিৎসক থাকলে তিনি পরের দিন ‘ডে অফ’ নিতে পারবেন না। এমনকী, একই ইউনিটে দুজনের বেশি শিক্ষক-চিকিৎসক একসঙ্গে ছুটি নিতে পারবেন না এবং রোজ রাতে বিভিন্ন বিভাগের কোনও না কোন শিক্ষক-চিকিৎসককে থাকতে হবে ডিউটিতে। যথেচ্ছ প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লাগাম টানতেই রস্টার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর সোমবার এল আরও কড়া নির্দেশ। এর ফলে কলকাতা থেকে দূরবর্তী জেলায় কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের অধিকাংশই নন–প্র্যাকটিসিং অ্যালাউয়্যান্স না–নিলেও কার্যত আর প্রাইভেটে রোগী দেখতে পারবেন না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *