প্রসেনজিৎ ধর:- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯৯৭ সালে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের জন্য আজও প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। এমন মন্তব্য করে গত তিন দিন আগে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। সেই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, ঠিকই তো বলেছেন। কংগ্রেস তো প্রায়শ্চিত্তই করছে।তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার বলেন, “উনি ঠিক কথা বলেছেন।” এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা নিজের মন্তব্যে অনড় থেকে বলেন, “সেদিন যা ঘটেছিল, আমি তার ব্যাখ্যা দিয়েছি। সুতরাং এই ব্যাখ্যার মধ্যে সত্যতা আছে। যেটা আমি নিজের চোখে দেখেছি, আমি সেটাই কর্মীদের বলেছি। আজ এটাকে যারা সমর্থন করছেন, তারা করতে পারেন। যারা সমর্থন করছেন না তারা নাও করতে পারেন। এটা তাদের অভিপ্রায়৷ যদিও আমাকে এটা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি |
প্রসঙ্গত,১৯৯৭ সালের ৯ ডিসেম্বর। কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন হয়েছিল। নেতাজি ইন্ডোরে সেই সভাস্থলে সোমেন মিত্র, প্রণব মুখোপাধ্যায়, সীতারাম কেশরীর মতো নেতারা। অথচ সভায় ছিলেন না তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ততদিনে মমতার জনপ্রিয়তা চরমে। যুবনেত্রী থেকে জননেত্রী হয়ে উঠেছেন মমতা। নেতাজি ইন্ডোরে যখন কংগ্রেসের অধিবেশন চলেছে, তখনই স্টেডিয়ামের বাইরে কর্মীসভা করেছিলেন মমতা। তাতে রীতিমতো জনজোয়ার দেখা যায়। সেদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, সোমেন মিত্র এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে চলতে পারবেন না। কংগ্রেস হাই কম্যান্ডকে তখন সোমেন এবং মমতা দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হত। সীতারাম কেশরী সেদিন সোমেনকে বেছে নিয়েছিলেন।মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর থেকে ফিরে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের পিছনের হেলিপ্যাড থেকে নবান্নে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। প্রদীপ ভট্টাচার্যের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, “ঠিক বলেছেন।” আর একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি।