প্রসেনজিৎ ধর :- এবার ডিএ মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি ফের মার্চ মাসে হবে শীর্ষ আদালতে। নতুন বেঞ্চে হবে সেই মামলার শুনানি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সময়ের অভাবে আর এই মামলার শুনানি করা যায়নি। তাই সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চ মাসে শুনানি করা হবে জানানো হলেও আদতে কবে তা হবে সে বিষয়ে এখনও কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবার ডিএ মামলা উঠেছিল। এর মধ্যে অবশ্য দু’দফায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মেটানোর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট) এবং কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় গিয়েছিল সরকার কর্মীদের পক্ষে। গত ২০২২ সালের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যকে সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমতুল্য ডিএ দেওয়ার নির্দিশ দিয়েছিল। যদিও হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। আপাতত সেখানেই এই মামলা বিচারাধীন।এর মধ্যে অবশ্য দফায় দফায় ডিএ বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর ২১ ডিসেম্বর রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ ৪ শতাংশ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এর আগে তিনি রাজ্য বাজেটে আরও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই সরকারি কর্মীদের নিজের পরিবার বলেও উল্লেখ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে কি মুখ্যমন্ত্রী ডিএ নিয়ে কোনও ঘোষণা করবেন? সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। অন্যদিকে, এদিন সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবি সংক্রান্ত মামলা পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে হতাশ মামলাকারীদের একাংশ। সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, ‘আমরা ২০১৬ সাল থেকে লড়ছে। সরকারি কর্মচারিদের আর একটু ধৈর্য্য ধরতে বলব।’ একই সুর শোনা গেল সরকারি কর্মচারিদের অপর দুই মামলাকারী সংগঠন ইউনিটি ফোরাম এবং কনফেডারেশন অফ স্টেট গর্ভমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতৃত্বের কণ্ঠেও। মামলা চালিয়ে যাবেন বলে জানান ৩টি সংগঠনই।