প্রসেনজিৎ ধর :- ‘ইয়াস’ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে রিপোর্ট তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | তবে রিভিউ মিটিংয়ে যোগ দেননি তিনি |ওড়িশায় ‘ইয়াস’ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে দুপুর দুটো দশ নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা এয়ারবেস চত্বরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি | তবে তার আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সেখানে যান | নরেন্দ্র মোদি পৌঁছনোর বেশ কিছুক্ষণ পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলাইকুন্ডায় পৌঁছন | রাজ্যপালের সঙ্গে তিনিও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান | প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী | ‘ইয়াস’ পরবর্তী রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ানের হিসাব সম্বলিত রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তিনি | তারপরই চপারে করে দিঘার পথে রওনা হন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান | প্রশাসনিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথাও বলেন তিনি | পাশাপাশি, অন্ধ্র ও ওড়িশাকে যেখানে ৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সেখানে বাংলার ভাগে মাত্র ৪০০ কোটি কেন? এ নিয়েও কিছুটা অনুযোগের সুরেই প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা | সূত্রের খবর, রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির কথা প্রধানমন্ত্রী মন দিয়ে শুনেছেন | রিভিউ মিটিংয়ের পর দিল্লি গিয়ে রাজ্যে ত্রাণের ব্যাপারে যা করার তা তিনি করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী মমতাকে জানিয়েছেন | ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও দিঘা ও সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য পৃথকভাবে ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | মমতা বলেন,”দুটো ভালো রিপোর্ট আমরা দিয়েছি | অন্যান্য যা হয়েছে সেগুলো তো আছেই | তাছাড়াও দুটো স্কিম দিয়েছি|একটা দিঘার উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ, আর একটা সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা | এই বিশ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ চেয়েছি|” কলাইকুণ্ডা থেকে বেরিয়ে মমতা চলে যান দিঘা | এদিন প্রধানমন্ত্রীর সাথে রিভিউ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, জেলাশাসক রশ্মি কোমল, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, বিধায়ক ও অভিনেতা হিরণ | এদিন কলাইকুণ্ডায় আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী হিঙ্গলগঞ্জ থেকে সাগরে গিয়েছিলেন | সেখানে তিনি একটি প্রশাসনিক বৈঠকও করেন|সেই বৈঠকেই তিনি বাঁধ ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে ফের অসন্তোষ ব্যক্ত করেন | বলেন, ‘কাঁচা মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করলে তা ভেঙে যাচ্ছে, টাকাও জলে চলে যাচ্ছে | দরিদ্ররা যেন ঠিকমতো ত্রাণ পায়, দেখতে হবে। কেউ যেন বঞ্চিত না হয়|’