প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রয়াত প্রাক্তন দুঁদে পুলিশকর্তা ও এককালের দাপুটে বিধায়ক সুলতান সিংহ | ২০১১ সালে হাওড়ার বালি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফে বিধায়কও হয়েছিলেন তিনি|ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতি ঘটল রবিবার | মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর | বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এদিন মৃত্যু হয় | শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | দুঁদে আইপিএস সুলতান সিংহের হাওড়ায় দাপট ছিল বরাবর | দক্ষ পুলিশ অফিসার হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল | পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইপিএস আধিকারিকের পদ থেকে অবসরের পর রাজনীতিতে যোগ দেন সুলতান | মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের ‘পরিবর্তনের হাওয়ায়’ ২০১১ সালে বালি থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন সুলতান | চিরকালই ‘লালদূর্গ’ বলে পরিচিত বালিতে সেই প্রথম জয়ের স্বাদ পায় তৃণমূল | সিপিএমের কণিকা গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রায় ৬ হাজারের বেশি ভোটে পরাস্ত করেন সুলতান| তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫২,৭৭০ | সেখানে কণিকার প্রাপ্তি ছিল ৪৬,১৭০ | ২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে বালির বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি | সেসময় রাজ্য ভূতল পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল সুলতানকে | মমতার আস্থাভাজন সুলতান সিংহ বিধায়ক হিসেবেও দাপট বজায় রেখেই চলতেন|বিধায়ক থাকাকালীন দিলওয়ার রোলিং মিলে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমে ছিলেন | পরিকল্পনামাফিক শ্রমিকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহতও হয়েছিলেন | কিন্তু তারপরেও দমে যাননি | তার শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই ২০১৬ সালে আর টিকিট দেননি তাঁকে| যদিও হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের সদস্য করা হয়েছিল তাঁকে | হয়তো তাতে মনক্ষুণ্ণ হয়েছিল, এরপর নিজে থেকেই ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছিলেন |
এদিন তাঁর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকজ্ঞাপন করেন | পরিবারের সদস্য ও অনুগামীদের সহমর্মিতা জানান। টুইটে তিনি লেখেন, ‘জনপরিষেবায় সুলতান সিংহের অবদান কখনওই ভোলার নয়|’