তৃণ্ময় বেরা , ঝাড়গ্রাম :- এ যেন দুয়ারে করোনা প্রতিষেধক! প্রতিষেধক নেওয়ার দু’দিন আগেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে ‘টোকেন’| তারপর নির্দিষ্ট তারিখে পৌঁছে গেলেই মিলবে প্রতিষেধক | সুষ্ঠুভাবে প্রতিষেধক দানের জন্য শহরে ওয়ার্ড ভিত্তিক শিবির করা হয়েছিল | সেই শিবিরে সুষ্ঠভাবে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে | এবার জেলার আটটি ব্লকে সুষ্ঠুভাবে প্রতিষেধক দানের জন্য ‘টোকেন’ ব্যবস্থা চালু করল ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতর| প্রতিষেধক নেওয়ার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘টোকেন’ পৌঁছে দেবেন দেবেন আশা কর্মীরা|বিএমওএইচ ও বিডিওদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা | সেই বৈঠকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয় | জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে জেলাজুড়ে ‘টোকেনে’র মাধ্যমে প্রতিষেধক দেওয়া হবে | প্রতিটি ব্লকের বিএমওএইচরা প্রতিটি টোকেনে সই ও স্ট্যাম্প দিয়ে দেবেন | আশাকর্মীরা সেই ‘টোকেন’ দু’দিন আগে বাড়িতে পৌঁছে দেবেন| তাঁদেরকে গ্রামীণ হাসপাতাল বা নির্দিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নির্দিষ্ট দিনে যেতে হবে প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য| সঙ্গে ওই এলাকার আশাকর্মীরাও থাকবেন |
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, “প্রতিটি ব্লকে সুষ্ঠ ভাবে প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য টোকেন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে | গ্রামগুলিতে কারা কারা এখনও প্রতিষেধক পাননি তাও সার্ভে করা হবে | আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দু’দিন আগে টোকেন দিয়ে আসবেন | টোকেন ছাড়া কাউকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে না |” প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদ ও জলপাইগুড়ি জেলায় প্রতিষেধক নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে | তাই জেলায় সুষ্ঠুভাবে প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য ‘টোকেন’ ব্যবস্থা চালু করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর | এ বিষয়ে বেলিয়াবেড়া ব্লকের বিএমওএইচ কিংশুক রায় বলেন, “প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য মানুষজন রাত থেকে লাইন দিচ্ছিলেন | সবাইকে প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না | যার ফলে অনেকে প্রতিষেধক না পেয়েই ফিরে যাচ্ছিলেন | কিন্তু এবার টোকেন মাধ্যমে প্রতিষেধক দেওয়া হবে | এত মানুষজনকে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হবে না |”জামবনি ব্লকের বিএমওএইচ অভিরূপ সিং বলেন, ‘‘আগামী সোমবার থেকে টোকেনের মাধ্যমে প্রতিষেধক দেওয়া হবে | এজন্য আশাকর্মীরা বাড়ি গিয়ে টোকেন দিয়ে আসবেন|”জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে ৯ লক্ষ ১১ হাজার ৬৫৪ জনকে প্রতিষেধক দেওয়ার টার্গেট রয়েছে | তার মধ্যে ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭৪ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে |আর ৯৫ হাজার ৭৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে|