দেবাশীষ পাল,মালদহ :- গত বছর থেকেই করোনা আবহে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর উদযাপনে ভাটা পড়েছে | এ বছর পুজো আসতে হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন | কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে বরাত মেলেনি দুর্গা প্রতিমা তৈরির, আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে মালদহ জেলার মৃৎশিল্পীদের| প্রসঙ্গত, মালদহ শহরের জুবিলি রোড , আন্ধারুপাড়া, পাকুড়তলি, ফুলবাড়ি , বালুর চর সহ একাধিক এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মৃৎশিল্পীদের কারখানা | কিন্তু এসব এলাকার অধিকাংশ মৃৎশিল্পীরা এখনো পর্যন্ত দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত পাননি বলে জানিয়েছেন | কেউ কেউ বায়না পেয়েছেন কয়েকটি দুর্গা প্রতিমার | কিন্তু সেইসব মৃৎশিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করার ক্ষেত্রে নিজেদের পরিবারের লোকেদের এই কাজে যুক্ত করেছেন | কারণ, করোনা মহামারির মধ্যে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেক মৃৎশিল্পীরা | তার ওপর প্রতিমা তৈরি নানা উপকরণের দাম একধাপে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে| তাই যতটা পারছেন বাড়ির পুরুষ এবং মহিলা সদস্যদের নিয়ে দেবীমূর্তি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মৃৎশিল্পীদের অনেকেই| যদিও তারা এই মুহূর্তে বিশ্বকর্মা, গণেশ, লক্ষী মনসা দেবদেবীর প্রতিমা তৈরি করেছেন ঠিকই |
কিন্তু দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত যে এবছর পাবেন না তা ভেবেই কুল করতে পারছেন না মালদহ শহরের বেশ কিছু মৃৎশিল্পীরা| তাঁদের বক্তব্য, করোনা মহামারীর জেরে এই বছর পুজো ধুমধামভাবে করার কোন উদ্যোগ নেই অধিকাংশ ক্লাব কর্তাদের| যদিও বা কেউ দুর্গা প্রতিমার বরাত নিয়ে আসছেন, কিন্তু ক্লাব কর্তাদের বাজেট কম হওয়ায় প্রতিমা তৈরি করার বায়না নেওয়া যাচ্ছে না | তবুও যদি দুর্গা প্রতিমা তৈরীর বরাত পাওয়া যায়, সেই আশাতেই রয়েছেন মালদহ শহরের বেশ কিছু মৃৎশিল্পীরা| গত বছর প্রতিমা তৈরির যা দাম ছিল, তার অর্ধেক দাম কমিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা | যার ফলে লোকসানের মুখে পড়ে দেবী প্রতিমা বানানো সম্ভব হচ্ছে না | তাই এই অবস্থায় যদি সরকার তাঁদের সহযোগিতা করে, তার কথাও জানিয়েছেন অনেক মৃৎশিল্পীদের পরিবার |