প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- হাওড়া থেকে বালিকে পৃথক করার বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল | সেক্ষেত্রে হাওড়ায় ২২শে জানুয়ারি ও বালিতে ২৭শে ফেব্রুয়ারি ভোট করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না | কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট করতে চেয়ে কমিশনের কাছে আবেদনও জানিয়েছিল রাজ্য সরকার| কমিশন রাজ্যের আবেদনে সম্মতি জানিয়েছিল | সেই মতো ১৯ ডিসেম্বর ভোট হবে এটা নির্ধারণ করে প্রস্তুতি শুরু হয় | তবে বিরোধীরা এ নিয়ে আপত্তি জানায় | বালি পুরসভাকে আলাদা করার ব্যাপারে রাজ্যপালও এতদিন সম্মতি দেননি | তবে এবার সম্মতি দিয়েছেন তিনি | তবে বৃহস্পতিবারই এই সংক্রান্ত মামলা শেষ হয় | এরপর সেই নথি আসে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের হাতে | শুক্রবার প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় | তবে বালিকে হাওড়ার থেকে আলাদা করা নিয়ে আর কোনও বাধা রইল না |
নাগরিক পরিষেবা আরও উন্নত করার স্বার্থে হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করা উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার | কিন্তু রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সেই বিলে প্রথমে স্বাক্ষর করেননি | বরং আরও তথ্য চান তিনি | হাওড়া পুরসভা বিলে সই না করার পক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, “এ সংক্রান্ত যে তথ্য বিধানসভার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল তা পাইনি |” সমন্বয় রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে অভাব থাকছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগে সরবও হয়েছিলেন ধনখড় | এ বিষয় আলোচনার জন্য় একাধিকবার তিনি রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে | তারপরও জট কাটছিল না | তবে কলকাতা পুরভোটের পর সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে রাজ্যপাল বিলে স্বাক্ষর করে দেন | তাঁর আশা ছিল, সমস্ত পুরসভাগুলিতে একসঙ্গো ভোট হবে| কিন্তু রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন আগে কলকাতা পুরসভার ভোট সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় | আর তারপর দ্রুতই মেয়াদ উত্তীর্ণ বাকি পুরসভাগুলিতেও নির্বাচনের জন্য তৎপর হয় সরকার ও নির্বাচন কমিশন|আলোচনাক্রমে ২২ জানুয়ারি ও ২৭ ফেব্রুয়ারি-দু’দফায় ভোটের দিনক্ষণ স্থির হয় | এতে সন্তুষ্ট রাজ্যপাল | আটকে থাকা পুরবিলে সই করায় নির্বাচনের পথ মসৃণ হল |