প্রসেনজিৎ ধর :- গরু পাচার মামলার তদন্তে আরও তৎপর ইডি। এবার সায়গল হোসেনের মা এবং স্ত্রীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হল তাঁদের।গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই পুলিশকর্মীর কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে সায়গলের মা এবং স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। এদিকে জানা গিয়েছে, ইডির তলবের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁরা।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সায়গলের স্ত্রী এবং মায়ের নামে সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সম্পত্তির উৎস জানতেই তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কবে তাঁদের দিল্লিতে যেতে বলা হয়েছে, সেই বিষয়ে জানা যায়নি। এদিকে সায়গলের স্ত্রী এবং মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনুব্রতর দেহরক্ষীর গ্রেফতারির পরই বিপুল সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা।
এর আগে গরু পাচারকাণ্ডে সায়গলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম ছিল। সিবিআই তদন্তকারীদের দাবি, কেষ্টর হয়েই টাকা নিতেন তাঁর দেহরক্ষী। সেভাবেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন সায়গল। সায়গলের নামে ডোমকলে ৩৬টি জমির প্লট (বাজার দর ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা), বোলপুরে ৭ টি জমির প্লট (বাজার দর ১ কোটি ৫ লাখ টাকা), সিউড়িতে ৭টি জমির প্লট (বাজারদর ৭২ লাখ টাকা), বীরভূমের অন্যত্র পাঁচটি জমির প্লট (বাজার দর ৮৫ লাখ টাকা) রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া নিউটাউন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট (বাজার দর ১০ লাখ), বিমানবন্দর নিউটাউন এলাকায় ৩টি ফ্ল্যাট (বাজার দর ৬০ লাখ টাকা), ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্প, ২টি লরি, ৩৭ লাখ টাকার গয়না রয়েছে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীর নামে। এছাড়া শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলাতেই জমির ৬০টি দলিল উদ্ধার হয়েছে সায়গলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সায়গল একজন সরকারি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন, তার উৎস খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। সে কারণে তাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হয়। অনুমতি পেতে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে আদালত ইডি’র আরজি খারিজ করে দেয়। এবার সায়গল মা এবং স্ত্রীকে দিল্লির ইডি দফতরে যান কিনা, সেটাই এখন দেখার।