Breaking News

‘আমি শুধু সই করতাম,তাঁদের উপর ভরসা রেখেছিলাম’ সিবিআই জেরায় বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সিবিআই জেরার মুখে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় | সিবিআই জেরায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চাঞ্চল্যকর দাবি, ‘ডিপার্টমেন্ট থেকে ফাইল আসত। আমি শুধু সই করতাম। আমার খুব সীমিত ক্ষমতা ছিল। তাঁদের উপর ভরসা রেখেছিলাম।’ আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ‘তাঁদের’ বলতে কাদের বোঝাতে চেয়েছেন চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? কারা তাঁরা? কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী? কারণ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, তিনি গোটা দুর্নীতির দায়টা শিক্ষা দফতরের উপর-ই চাপাচ্ছেন। দফতরের আধিকারিকদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন।ওঁদের বলতে তিনি এখানে শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জট কতদুর বিস্তৃত তার গভীরে পৌঁছতে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে | শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও এই মুহূর্তে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। নিজাম প্যালেসে তাঁদের ম্যারাথন জেরা করছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অনেককিছু জানিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “দফতর থেকে ফাইল আসত। আমি শুধু সই করতাম। আমার ভূমিকা খুবই কম ছিল। আমি ওঁদের উপর বিশ্বাস করেছিলাম।” জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই বয়ানের পর এবার কল্যাণময় এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ফের জেরার সিদ্ধান্ত রয়েছে সিবিআই-এর। প্রসঙ্গত, ইডি-জেল ঘুরে এখন সিবিআই ঘরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১৬ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় । পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই আবেদনের উপরই শুনানি হয়। আদালতকে সিবিআই জানায় যে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সবটা জানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে আরও অনেক সূত্র মিলবে বলে মনে করছে তারা। আদালত সিবিআই-এর সেই দাবিকেই মান্যতা দেয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠায়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *