Breaking News

রেল অবরোধ তুলে নিলেন কুড়মি সমাজের আন্দোলনকারীরা!রেল অবরোধ উঠতেই স্বস্তি যাত্রীদের‌

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- টানা পাঁচদিন আন্দোলন গড়ে তোলার পর এবার তা থামল। ১০০ ঘণ্টা পর রেল অবরোধ প্রত্যাহার করলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন। অবশেষে রেল অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন অবরোধকারীরা। তাঁদের আন্দোলনের জেরে নিত্যযাত্রীদের নাকাল হতে হয়েছে। চরমে উঠেছিল দুর্ভোগ। আজ, শনিবার আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন কুড়মি সম্প্রদায়। তিন জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর জট কাটল। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ তিন জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন আদিবাসী কুড়মি সমজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত মাহাতো। প্রায় এক ঘন্টা ধরে সেই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে রেল অবরোধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে অজিত মাহাতো জানান, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক সন্তোষজনক হয়েছে। তাই আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে দাবি পূরণ না হলে আগামীতে আবার আন্দোলনের নামার হুঁশিয়ারি দেন এই আদিবাসী নেতা।উল্লেখ্য, কুড়মি জনজাতিকে তপসিলি জনজাতীর মর্যাদা দেওয়া, কুড়মালি ভাষাকে অষ্টম তপসিলের অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় রেল-সড়ক অবরোধ শুরু হয়ে যায়। এর জেরে বাতিল হয় লোকাল সহ ২৫০টি দূরপাল্লার বহু ট্রেন। নাকাল হন যাত্রীরা। ওই আন্দোলনের ফলে জাতীয় সড়কে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পণ্যবাহী ট্রাক। কাঁচামাল সব ট্রাকেই পচে যাচ্ছিল। প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পাঁচ দিনের মাথায় আন্দোলোন প্রত্যাহারে তারা কিছুটা স্বস্থি পেলেন। কুড়মি সমাজের নেতা অজিত মাহাতো বলেন, সাধারণ মানুষের প্রচুর সমস্যা হয়েছে বুঝতে পারছি। কিন্তু এছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না। কেননা ২০১৭ সাল থেকে এই লড়াই চলছে। কোনও ফল হচ্ছিল না। রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। কোনও ফল হয়নি। আমাদের মতো একটি পুরনো আদিবাসী গোষ্ঠী এতদিন ধরে বঞ্চিত। এবার আমাদের স্বীকৃতি চাই। তবে আজকের আলোচনা খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। এতে আমরা খুশি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *