Breaking News

প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির বর্ষীয়ান নেতা মুলায়ম সিং যাদব,‘আমাদের দেশ এবং রাজনীতির জন্য একটি বড় ক্ষতি’ মুলায়মের প্রয়াণে শোক প্রকাশ মমতার!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- প্রয়াত হলেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা লোকসভা সাংসদ মুলায়ম সিং যাদব। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ অবস্থায় গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বার্ধক্যজনিত সমস্যার পাশাপাশি তাঁর মূ্ত্রনালীতে সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল।প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদবের প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির তরফে তাঁর পুত্র অখিলেশ যাদব টুইট করে মুলায়ম সিং যাদবের মৃত্যুসংবাদ জানান। অখিলেশ লেখেন, ‘আমার শ্রদ্ধেয় বাবা ও সবার নেতা আর আমাদের মধ্যে নেই।’ প্রসঙ্গত, রবিবারই দলের তরফে জানানো হয়েছিল যে মুলায়ম সিং যাদবের শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটজনক। তাঁকে জীবনদায়ী ওষুধের উপর রাখা হয়েছে। মুলায়ম সিং যাদব রাজনীতির আঙিনায় ‘নেতাজি’ বলেই পরিচিত। তিনি-ই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সমাজবাদী পার্টি। ১৯৯২ সালের অক্টোবর মাসে রাম মনোহর লোহিয়ার আদর্শে সমাজবাদী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন মুলায়ম। বর্তমানে তিনি মণিপুরি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। সোমবার সকালে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব। টুইট বার্তায় সে কথা জানান পুত্র অখিলেশ যাদব। সোমবার সকালে এই দুঃসংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে সোনিয়া গান্ধী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করে তাঁর পরিবার এবং তাঁর অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।শোক প্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত জাতীয় নেতা মুলায়ম সিং যাদবের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর চলে যাওয়া আমাদের দেশের এবং আমাদের রাজনীতির জন্য একটি বড় ক্ষতি।’তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুলায়ম সিং যাদবের রাজনৈতিক সম্পর্ক একসময় ভালোই ছিল। ২০১২ সালে কংগ্রেস রাষ্ট্রপতি পদে তাদের প্রার্থী হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম সামনে এনেছিল। সেই সময় মমতা মুলায়মের সঙ্গে জোট করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামকেই পছন্দের তালিকায় বেছে নিয়েছিলেন। পরে মুলায়মই মত পাল্টান। কংগ্রেসের পক্ষেই তিনি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করেন। এরপরে মমতা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। ফলে মুলায়মের সঙ্গে তার দূরত্ব বেড়েছিল।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *